Nadia: হরিণঘাটায় বিজেপি সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ
BJP: হরিণঘাটায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। হরিণঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের।
সুদীপ্ত আচার্য, হরিণঘাটা: নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী (Kalyani) থেকে বাড়ি ফেরার সময় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (BJP MP Jagannath Sarkar) উপর ‘হামলা’। হরিণঘাটায় (Haringhata) বিজেপি সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ। অল্পের জন্য রক্ষা। বিজেপি সাংসদের গাড়ির পিছনে বোমা পড়ার দাবি।
হরিণঘাটা থানায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। হামলার অভিযোগে ৩৪ নম্বর জাতীয় (National Highway 34) সড়ক অবরোধ বিজেপির।
‘আগেও হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছিল। না মানায় হামলা’, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (BJP West Bengal President Sukanta Majumdar)। মিথ্যে অভিযোগ, শুধুই প্রচারে আসার চেষ্টা, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
সূত্রের খবর, আজ রাত সোয়া আটটা নাগাদ কল্যাণী থেকে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপি সাংসদ। অভিযোগ, হরিণঘাটায় শিমূলতলার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। গাড়ির পিছনে বোমা পড়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পান সাংসদ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। এই ঘটনার পরেই হরিণঘাটা থানায় যান সাংসদ। সেখানে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
হামলার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী রত্না ঘোষ করের দাবি, ‘ওদের কথা শুনে হাসি পাচ্ছে। সব মিথ্যে অভিযোগ। খবরে আসার জন্য এই সব বলা হচ্ছে। হরিণঘাটা দুষ্কৃতীমুক্ত এলাকা।’
সম্প্রতি খুন হয়েছেন দুই নবনির্বাচিত কাউন্সিলর। গত রবিবার সন্ধেবেলা খুন হন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করেন এক ব্যক্তি।
একই দিনে খুন হন পুরুলিয়ার ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পুরুলিয়া শহরে দলের বৈঠক সেরে ঝালদায় ফেরেন তপন কান্দু। স্থানীয় সূত্রের দাবি, বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথায় গুলি লাগে কংগ্রেস কাউন্সিলরের। রাঁচির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে।
এবার বিজেপি সাংসদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। ফলে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।