Nadia News: হাঁসখালিকাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আদালতে স্টেটাস রিপোর্ট সিবিআইয়ের
যেখানে পরিবারের সুরক্ষার জন্য তাদের পরিচয় গোপন রাখার মামলা বিচারাধীন, সেক্ষেত্রে এই আচরণ আইনবিরুদ্ধ। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে।
নদিয়া: হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali) তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে মুখ বন্ধ খামে আদালতে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই (CBI)। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের এক সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court)। আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের অভিযোগ, বিজেপির (BJP) টিমের এক সদস্য নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছেন।
যেখানে পরিবারের সুরক্ষার জন্য তাদের পরিচয় গোপন রাখার মামলা বিচারাধীন, সেক্ষেত্রে এই আচরণ আইনবিরুদ্ধ। কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে। এ দিকে হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali) মুখ বন্ধ খামে আদালতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই (CBI)।
হাঁসখালিকাণ্ডে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) কেন সাংবাদিক বৈঠকে ধর্ষিতার নাম উল্লেখ করেছেন সেই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। বিজেপির (BJP) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের এক সদস্যের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে ।
গত ২৫ এপ্রিল হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali) এক নাবালক-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল CBI। ধৃতরা মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারকে হুমকি ও তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: Arjun Singh : ৯ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা, তারপরই লড়াই ! ফের অর্জুনের হুঙ্কার
আরও পড়ুন: Bankura News: শুকিয়ে গেছে দ্বারকেশ্বর, পানীয় জলের সঙ্কট মোকাবিলায় বিকল্প কংসাবতীর জল
নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ (Gang Rape) করে খুনের অভিযোগে, আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) নেতার ছেলে মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালি -সহ তিনজন। এবার এক নাবালক-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল CBI। তাঁদের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারকে হুমকি এবং তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি হাঁসখালি (Hanskhali) যায় বিজেপির (BJP) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact Finding Committee)। ইতিমধ্যেই রওনা দেন তাঁরা। ৪ সদস্যের দলে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের ধৌরহারা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রেখা বর্মা, তামিলনাড়ুর বিধায়ক ও বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনতি শ্রীনিবাসন, বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং মালদার ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তথ্য অনুসন্ধান কমিটিতে নাম থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিধিদলে ছিল না যোগী আদিত্যনাথ সরকারের শিশুকল্যাণমন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য। হাঁসখালি থেকে ফিরে এই কমিটি গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট দেয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে।