Bankura News: শুকিয়ে গেছে দ্বারকেশ্বর, পানীয় জলের সঙ্কট মোকাবিলায় বিকল্প কংসাবতীর জল
অসহ্য গরম! রাস্তায় বেরলেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যেই জলের জন্য হাহাকার! কল থাকলেও, তাতে দিনের বেশিরভাগ সময় জলের দেখা মেলে না। গরমে বাঁকুড়া শহরে জলকষ্টের এই ছবি নতুন কিছু নয়।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: প্রখর দাবদাহে শুকিয়ে গেছে দ্বারকেশ্বর নদ (Dwarakeswar River)। সঙ্কট মোকাবিলায় মুকুটমণিপুরে (Mukutmonipur) কংসাবতী (Kangsabati) জলাধার থেকে ক্যানেলের সাহায্যে ছাড়া হল জল। বাঁকুড়া পুরসভার (Bankura Municipality) দাবি, দ্বারকেশ্বরের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় মিটবে পানীয় জলের সমস্যা।
অসহ্য গরম! রাস্তায় বেরলেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যেই জলের জন্য হাহাকার! কল থাকলেও, তাতে দিনের বেশিরভাগ সময় জলের দেখা মেলে না। গরমে বাঁকুড়া শহরে জলকষ্টের এই ছবি নতুন কিছু নয়। এই কষ্ট থেকে মানুষকে রেহাই দিতে এবার বিকল্প পথে হাঁটল বাঁকুড়া পুরসভা।
সাধারণত দামোদর (Damodar) ও দারকেশ্বর (Dwarakeswar) থেকে জল নিয়ে বাঁকুড়া শহরে (Bankura) সরবরাহ করা হয়। কিন্তু তীব্র গরমে দারকেশ্বরের জলস্তর নেমে গেছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে মুকুটমণিপুরে (Mukutmonipur), কংসাবতীর জলাধার থেকে জল ছেড়ে ক্যানেলের সাহায্যে আনা হচ্ছে দারকেশ্বরে।
বাঁকুড়া পুরসভা সূত্রে খবর, দ্বারকেশ্বর নদ থেকে জল তুলে পাম্পের সাহায্যে শোধন করে সরবরাহ করা হবে বাড়ি বাড়ি। বাঁকুড়ার (Bankura) বাসিন্দা প্রদীপ মালাকারের কথায়, শুনেছি কংসাবতী থেকে জল এসেছে। ফলে কিছুটা সমস্যার সমাধান হয়েছে। কংসাবতী থেকে দারকেশ্বরে জল এনে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার যা নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাকে বিঁধল বিজেপি (BJP)।
বাঁকুড়ার বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের কথায়, কংসাবতী থেকে জল নেওয়া মানে তৃণমূল (TMC) সরকারের ব্যর্থতা। ২০১৬-১৭ আম্রুত প্রকল্পে পাইপলাইনের মাধ্যমে দুর্গাপুর ডিভিসি (Durgapur DVC) থেকে জল আনা শুরু হয়। তারপরেও কেন কংসাবতী থেকে জল আনতে হল?
বাঁকুড়া পুরসভার (Bankura Municipality) উপ পুরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ বলেন, আম্রুত প্রকল্পে জল সরবরাহ এখনও কয়েকটি ওয়ার্ডে বাকি আছে। গরমে নদীর জল শুকিয়ে গেছে। দ্বারকেশ্বরের জলস্তর নেমে গেছিল। তাই কংসাবতী থেকে জল এনেছি। আগাম সতর্কতায় এটা করেছি। এখান থেকে পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে জল সব জায়গায় সরবরাহ করা হবে। বাঁকুড়া পুরসভার দাবি, কৃত্রিমভাবে হলেও দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় গরমে মিটবে পানীয় জলের সঙ্কট।