Cattle Smuggling Case: কাঁটাতারের বেড়াই নেই কোথাও, কোথাও আবার নামমাত্র বেড়া, গরুপাচারে BSF-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
Nadia News: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিষ্ণুপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ঘুরতে ঘুরতে দেখা গেল, কোথাও যেমন ফেন্সিং নেই, কোথাও আবার তা এতই পলকা, যে চাইলে কেটে ফেলা সম্ভব।
আবির দত্ত, আশাবুল হোসেন ও দীপক ঘোষ: নদিয়ার (Nadia News) কৃষ্ণগঞ্জে (Krishnaganj News) BSF-এর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক গরু পাচারকারীর (Cattle Smuggling Case)। এই এলাকায় সীমান্ত সুরক্ষা (Border Security) নিয়ে এবিপি আনন্দর অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।দেখা গিয়েছে, সীমান্তের কোথাও ফেন্সিং (India Bangladesh Border) নেই। কোথাও কোথাও থাকলেও, তা এতটাই পলকা, যে চাইলেই কেটে ফেলা যায়। আর এই পথেই গরু পারাপার চলছে বলে অভিযোগ। তাতে প্রশ্ন উঠছে বিএসএফ-এর ভূমিকা নিয়ে। যদিও, বিএসএফ সূত্রে দাবি, তারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তৎপর রয়েছে।
এবিপি আনন্দর অন্তর্তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের (Birbhum News) তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তদন্তে নেমে তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে উঠে এসেছে। ‘ভোলে বোম’ নামে অনুব্রতর চালকল, গ্যারাজে সারি সারি গাড়ির ছবি সামনে এসেছে। দিকে দিকে এখনও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তা নিয়ে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি।
সেই আবহেই শনিবার গভীর রাতে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বাংলাদেশ সীমান্তে BSF-এরএর গুলিতে মৃত্যু হয় এক গরু পাচারকারীর। সেই এলাকায় পৌঁছে এবিপি আনন্দর অন্তর্তদন্তে গরু পাচার নিয়ে উঠে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কৃষ্ণগঞ্জের ভারত-বাংলাদশ সীমান্তে গিয়ে দেখা গেল, এখানে সীমান্তের একাংশে ফেন্সিংই নেই। তাই সেখান দিয়ে গরু পারাপার করানো কঠিন বিষয় নয়।
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: ' শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি', মোমিনপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক কুণাল
এলাকার কিছু জায়হায় ফেন্সিং তৈরির কাজ চলছে ঠিকই। কিন্তু রাতে বিএসএফের নজরদারি এড়িয়ে ভারত, বাংলাদেশ যাওয়া যায়, এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে কোনও ফেন্সিং নেই। স্থানীয়দের প্রশ্ন করলে ছোট এক বালক বলে ওঠে, ‘‘এখানে ফেন্সিং নেই। ওটা বাংলাদেশ, এটা ভারত।’’
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিষ্ণুপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ঘুরতে ঘুরতে দেখা গেল, কোথাও যেমন ফেন্সিং নেই, কোথাও আবার তা এতই পলকা, যে চাইলে কেটে ফেলা সম্ভব। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘তার কেটে দেয়। প্লাস দিয়েও কাটা যায়। টাইট করে আটকানো থাকে। কাটলে ৩ মিটার ফাঁকা হয়ে যায়। গলিয়ে দেওয়া যায়।’’ আরও এক বাসিন্দাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘জোড়া গরু ওপার বাংলায় বিক্রি হয়। ওপাড়ে খুব চাহিদা। এপাড়ে ৬০-৭০ হাজার। ওপাড়ে ৪ লক্ষ।’’
তোলপাড়ের পরও অবাধে চলছে গরুপাচার!
শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও তো কার্যত পাচারের রাস্তাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফেন্সিং না থাকায়, অবাধে গরু পাচার করা হয়। BSF সূত্রে দাবি, এখন মূলত ৩ পদ্ধতিতে গরু ভারত থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। কাঁটাতার কেটে, বাঁশের ঢেঁকিতে বেঁধে এবং সুড়ঙ্গের মাধ্যমে।
কিন্তু, প্রশ্ন হল সীমান্তে BSF-এর কড়া পাহারা সত্ত্বেও গরু পাচার চলছে কী করে? সীমান্ত বরাবর গাড়ি নিয়ে টহল দেয় বিএসএফ। তার পরেও কী ভাবে গরুপাচার হচ্ছে? যদিও বিএসএফ-এর দাবি, জওয়ানরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই তৎপর রয়েছেন। পাচারকারীদের আটকাতে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়েই তল্লাশি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পাচার আটকাতে নতুন ফেন্সিংও লাগানো হচ্ছে। তাতে বসানো হচ্ছে সেন্সর, যা সহজে কাটা যায় না। কিন্তু অবাধে পাচারের রাস্তাও রয়েছে।