(Source: Poll of Polls)
Kunal Ghosh: ' শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি', মোমিনপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক কুণাল
Kunal on Sukanta Mominpore: সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কলকাতা-সহ রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি। কী বললেন কুণাল ঘোষ ?
কলকাতা: সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) গ্রেফতারের প্রতিবাদে কলকাতা-সহ রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি (BJP)। উল্লেখ্য, মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসার জেরে চলে বোতল ছোড়াছুড়ি থেকে ইটবৃষ্টিও। উত্তেজনা ছড়ায় ওয়াটগঞ্জ ও একবালপুর থানা এলাকায়। একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে যেতে চাওয়ায় গ্রেফতার হন সুকান্ত মজুমদার। এরপরেই সুকান্তের গ্রেফতারির প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে প্রতিবাদে নামেন শুভেন্দু অধিকারী। মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা। অমিত শা-র কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা। চিঠিতে একবালপুর থানায় তাণ্ডবের অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে, বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। এই ইস্যুতদে এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
'শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি'
কুণাল ঘোষ বলেন, দুর্গোৎসব এবং কার্নিভ্য়াল সফলভাবে হওয়ার পর, অতৃপ্ত আত্মা, মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ বিজেপি, শকুনের রাজনীতি করছে। এই যে এত জায়গায়, লোক নেমেছে, ১০ থেকে ১২ টা লোক। টিভি ক্যামেরা, পুলিশ যত আছে, তার থেকে বিজেপির লোক কম ! জনগণকে একটু বিরক্ত করে ওরা প্রচারে থাকতে চাইছে। যেখানে একটা বিচ্ছিন্ন গণ্ডগোল। অন্য রাজ্য দেখুন...বলে পশ্চিমবঙ্গের কথা ইঙ্গিত করে বলেন, একটা গণ্ডগোল হয়েছে, সেটা দুটি ব্যক্তির মধ্যে হতে পারে, ক্লাবের মধ্যে হতে পারে, সেটা মানুষ থামিয়েছেন, পুলিশ থামিয়েছেন, সেটা ধর্মীয় রং দিয়ে, যেভাবে প্ররোচনার রাজনীতি করছে বিজেপি, আর তার সঙ্গে তার দুই লেজুর, কংগ্রেস এবং সিপিএম কুৎসা করতে নেমেছে ! এরপরেই শুভেন্দুরা কেন সেখানে গিয়েছেন প্রশ্ন তুলে, উত্তরপ্রদেশ ও ত্রিপুরার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে বাধার সম্মুখীন হয়েছে, মনে করান এদিন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন, 'মধ্যপ্রদেশের অ্যাকশন রিপ্লে পশ্চিমবঙ্গে', মোমিনপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক সজল-সেলিম
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে বোতল ছোড়াছুড়ি-ইটবৃষ্টি হয়। অভিযোগ করা হয় বোমাবাজিও। শনিবার রাতের পর, রবিবার সন্ধেয় ফের উত্তেজনা ছড়ায় একবালপুর থানা এলাকায়। এরপরই, একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয়েছে র্যাফ। এদিন চিংড়িঘাটা মোড়ে আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। ডিসি ইস্ট গৌরব লালের সঙ্গে কথা হয় সুকান্ত মজুমদারের। শেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও তাঁর দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। এই পরিস্থিতিতে, এদিন রাজভবনেও দরবার করে বিজেপি।