(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Murder: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে খুন
Nadia Murder News: গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের দাবি, বছর ছয়েক আগে বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে দাম্পত্য অশান্তি শুরু হয়।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ২ বছরের শিশুর (Child) সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল নদিয়ায় (Nadia)। স্বামীকে (Husband) গ্রেফতার করেছে রানাঘাট (Ranaghat) থানার পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম অলকা দাস (২৭)।
কী ঘটেছে? কী অভিযোগ?
গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পায়রাডাঙা বাজারপাড়া এলাকায়। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর ছয়েক আগে আসামের অলক দাস-এর সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় পায়রাডাঙ্গা বাজারপাড়ার সঞ্জিত দাসের। তাদের দু'বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের দাবি, বছর ছয়েক আগে বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে দাম্পত্য অশান্তি শুরু হয়। মাসদুয়েক বাপের বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী। শ্বশুরবাড়িতে ফেরার পর অশান্তি চরমে ওঠে। এরই মধ্যে গতকাল রাতে ফের স্বামী-স্ত্রীর বচসা বাধে। তার জেরেই স্ত্রীকে খুন বলে অভিযোগ।
এরপর শুক্রবার গভীর রাতে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়লে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চরমে ওঠে। দু'বছরের ছেলের সামনে নৃশংসভাবে দা দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ দেয় স্বামী। পাশের ঘর থেকে আর্তনাদ শুনে সকলে ছুটে এসে দরজা ভেঙে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূকে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে থাকতে। রাতেই খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেহটিকে উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন, মৃত্যুর পরও বাড়িতে দেহ! ভাইয়ের পচাগলা বডি আগলে রইলেন দাদা-বৌদি
সম্প্রতি এমনই এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল এই রাজ্যই। মালদার বাসিন্দা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীকে মেস থেকে ডেকে নিয়ে এসে হামলার অভিযোগ। হামলার পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের অস্ত্র দেখিয়ে চম্পট অভিযুক্ত। ছাত্রী যেই মেসে থাকতেন, সেই মেসের সামনে এসে তাঁকে ডাকেন অভিযুক্ত যুবক। এরপরই তাঁকে রীতিমতো কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করেন সেই অভিযুক্ত যুবক। মেসের সামনের রাস্তাতেই সেই তরুণীকে আক্রমণ করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানিয়েছেন, ''ছেলেটির হাতে অস্ত্র ছিল। যখন আমরা দেখেছি তখন দেখলাম যে ছেলেটি ছুরি দিয়ে কোপাচ্ছিল সেই মেয়েটিকে। কিন্তু ওর হাতে বন্দুকও ছিল। আমরা দৌড়ে যখন আটকাতে যাই ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।"