Nadia News: 'গন্ধ' পেতেই সন্দেহ, মাথার খুলি-সহ পচা গলা দেহ উদ্ধার নদিয়ায়
Nadia Crime: মাথার খুলি সহ পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ।
সুজিত মণ্ডল,নদিয়া: মাথার খুলি সহ পচা গলা মৃতদেহ (Dead body) উদ্ধারে চাঞ্চল্য। নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী থানার দু'নম্বর আনন্দনগর পিঞ্জিরাপোল সোসাইটির জঙ্গল থেকে গতকাল রাতে পচা গলা দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে কল্যাণী থানার পুলিশ (Kalyani Police Station)। স্থানীয় সূত্র জানা যাচ্ছে, গতকাল এলাকার কয়েকজন পচা গন্ধ পায়। এরপরই মাথার একটি খুলি দেখতে পায়। তারপর পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মাথার খুলি এবং দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসেও এমনই একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল হাওড়া জেলায়। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল মা এবং মেয়ের পচা, গলা মৃতদেহ। হাওড়ার (Howrah) পোদরার সরকার পাড়র এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মা এবং মেয়ে দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের অধীনে পোদরা সরকার পাড়ার বাসিন্দা বিমলেন্দু মিত্র(৭২) স্ত্রী সোমা মিত্র(৬৫) এবং অবিবাহিত মেয়ে অমৃতা মিত্রকে(৩৬) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন। তাঁরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা করতেন না। জানা যাচ্ছে, বিমলেন্দু বাবু নিজে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে তাঁকে দক্ষিণ হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে নিয়ে যেতেন। কিন্তু গত ২৬ এপ্রিল মারা যান বিমলেন্দু মিত্র নামে ওই ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, যেদিন গৃহকর্তার মৃত্যু হয়, সেইদিনই শেষবারের মতো তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকে দেখেছিলেন তাঁরা। গত তিনদিন ধরে বাড়ির সমস্ত দরজা ও জানালা বন্ধ ছিল। বিকেল থেকে মিত্র বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। প্রতিবেশীরা জানান, ঘরের পাইপ বেয়ে রক্ত-রস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখনই তাঁদের সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীরাই খবর দেন নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
আরও পড়ুন, আগামীকাল শুভেন্দুর গড়ে অভিষেক, বিরোধী দলনেতার সভাতেও অনুমতি আদালতের
পুলিশ আসতে তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘরে ঢুকে তাঁরা দেখতে পান একটি ঘরের বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বিমলেন্দু মিত্রর স্ত্রী সোমা মিত্র। তাঁর পাশে পড়ে ছিল স্বামীর ডেথ সার্টিফিকেট। পাশের একটি ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁদের মেয়ে অমৃতা মিত্রের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গৃহকর্তার মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে মা এবং মেয়ে দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। পাশাপাশি তাঁরা গোটা ঘটনার তদন্ত নামে পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।