Nadia News: ছেলের হাতে খুন বাবা, স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত মা
Nadia Murder Case: সৎ বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল ছেলে। অভিযোগ স্বামীকে ছেলের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন মা সীমা হালদারও।
প্রদ্যোৎ সরকার,নদিয়া: সৎ বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল ছেলে (Murder Case)। সোমবার ভোরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নবদ্বীপ পুরসভার একনম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চপাড়ার চন্দ্র কলোনিতে। মৃতের নাম ইন্দ্র দেবনাথ (৩৮)। পুলিস অভিযুক্ত ছেলে বাপন হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। অভিযোগ স্বামীকে ছেলের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন মা সীমা হালদারও। এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নবদ্বীপ থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
রাজ্যে খুনের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলছে। একদিকে রাজনৈতিক খুনের পাশাপাশি অন্যান্য ইস্যুতেও খুনের অভিযোগ বাড়ছে। উত্তর দিনাজপুর, ঠাকুরপুকুর-সহ একাধিক এলাকায় ভয়াবহ খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে উত্তর দিনাজপুরে বাবা এবং বড় দাদার হাতে খুন হয় মেজো ছেলে। উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভক্তিয়াডাঙ্গী এলাকায়। মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকেই। প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ২০-২২ দিন আগে থেকে সমীর বালা নামে এক যুবক বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু গত দিন পাঁচেক আগে ওই এলাকায় ওই বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। এমন পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেশীরা ঘটনার কথা জানান চোপড়া থানার পুলিশকে। যে জায়গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো শুরু করে, সেই জায়গায় পুলিশ ঘটনার কথা জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।এরপরেও চলে পুলিশের তদন্ত।
আরও পড়ুন, কত চাকরি হয়েছে ? কত বাকি ? পরিসংখ্যান চেয়ে বামেদের নিশানা মমতার
তবে ছেলে খুনের হাজারো ঘটনার পাশাপাশি জন্মদাতাকে খুনের ঘটনাও কম নয়। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই বাড়িতেই ছেলের হাতে খুন হন ঠাকুরপুকুরের পরেশনাথ-ঊষারানি সরকার। বাড়িতেই মাথা কেটে পরেশনাথ-ঊষারানি সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। তদন্তে জানা যায়, বাড়ির দোতলায় বাবা এবং একতলায় মাকে গলা কেটে খুন করে ছেলে। এখানেই শেষ নয়, নৃশংসভাবে খুনের পরেও দু’জনের মৃতদেহ একতলায় আনার পরে পাশের ঘরে রাত কাটায় ছেলে। এদিকে পরের দিন মিস্ত্রী ডেকে বাড়ির মধ্যে চৌবাচ্চার গর্ত খোঁড়ার সময় সন্দেহ হয় আত্মীয়দের। এরপর সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেয় আত্মীয়রাই। খবর পুলিশের কাছে পৌঁছতেই গ্রেফতার করা হয় ছেলে শোভন সরকারকে। ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে ৯ বছর। সম্প্রতি ঠাকুরপুকুরে বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ছেলে শোভন সরকার। সম্প্রতি অভিযুক্ত ছেলের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।