Nadia News: তেহট্টর জেল থেকে ফোন এল 'আত্মহত্যা করেছে মেহের'! বিচারাধীন বন্দির শরীরে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন এল কোথা থেকে ?
Tehatta Jail Prisoner Death Mystery : রাজ্যে বিচারাধীন বন্দির 'রহস্য মৃত্যু' ! বিস্ফোরক অভিযোগ পরিবারের, কী বলছে পুলিশ ?

প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: বিচারাধীন বন্দির 'রহস্য মৃত্যু', এই ঘটনা প্রথম নয়। আগেও একাধিকবার এমন বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে বাংলায়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রেক্ষাপট কিছুটা আলাদা হলেও, সিঁথি থানায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ঘটনাটি ২০ সালের হলেও, এমন ঘটনা গত দুই বছরেও প্রকাশ্যে এসেছে। আর ছাব্বিশের ভোটের আগে, এবার তেহট্ট সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য, 'মারধরে মৃত্যুর' অভিযোগ পরিবারের।
তেহট্ট সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো, পরিবারের অভিযোগ মারধরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃতের নাম মেহের দফাদার (৪৫)। বাড়ি তেহট্টের দফাদার পাড়ায়।পরিবারের অভিযোগ, অতিরিক্ত মারধোরের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। মুখে ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন থাকার অভিযোগ তুলেছে পরিবারের সদস্যরা। জেলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে পারিবারিক অশান্তির কারণে অভিযোগ ছিল। ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকেই তেহট্ট মহকুমা সংশোধনাগারে ছিল সে। আজ সকালে ফোন করে তাদের মৃত্যুর কথা জানায় পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ তাদেরকে জানানো হয় আত্মহত্যা করেছে মেহের। তবে পরিবারের অভিযোগ আত্মহত্যা নয়, তাকে মারধর করেছে জেলার সহ পুলিশ কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, কিছু বছর আগে এমনই অভিযোগ উঠেছিল সিঁথি থানায়। ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা মেনে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। পাশাপাশি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকেও রিপোর্টের কপি পাঠাতে নির্দেশ হাইকোর্টের। সিঁথি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় মৃত্যু হয় ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউয়ের। সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি চান এক আইনজীবী। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
সিঁথি থানায় ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় ৩ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। ২ এসআই-সহ ৩ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু। মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, চোরাই কল কেনার অভিযোগে গতকাল সিঁথি থানার পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৫২ বছরের ওই ব্যবসায়ীর। পরিবারের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইলেকট্রিক শক দিয়ে, পিটিয়ে মারা হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীকে। রাতে এনিয়ে সিঁথি থানায় তুলকালাম হয়েছিল। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ বেধে গিয়েছিল। আসল ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে বলে দাবি করেছিল মৃতের পরিবার।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল। বাগবাজার ঘাটের কাছে জমায়েত করেছিল বিজেপি কর্মীরা। কর্মসূচি শুরুর আগেই বাধা দিয়েছিল পুলিশ। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়েছিল বিজেপি কর্মীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে লঙ্কা গুঁড়ো মেশানো জল ছড়েছিড়েন বিক্ষোভকারীরা। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
