Nadia News: হরিণঘাটায় তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ! আক্রান্তকে নেওয়া হল হাসপাতালে
Nadia TMC Clash: পঞ্চায়েত ভোটের আগে নদিয়ার হরিণঘাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদের জেরে সংঘর্ষ।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: পঞ্চায়েত ভোটের আগে নদিয়ার (Nadia Haringhata) হরিণঘাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদের জেরে সংঘর্ষ (Clash)। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ-সহ বেশ কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল অঞ্চল সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
হরিণঘাটার ফতেপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা ও এলাকার রাশ দখলে রাখা নিয়ে দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে বিবাদ চলছিল। গতকাল রাতে গন্ডগোল চরমে ওঠে। পার্টি অফিসের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। আক্রান্ত হন হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। তবে এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি এমনই হয়, যে শেষ অবধি সংঘর্ষের জেরে চলে গুলি-বোমার লড়াই। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতার ভাই। অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। প্রতিবাদে ইসলামপুর থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল।
গতবছর তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের নবকলা গ্রাম।নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল পার্টি অফিসের লাইট। এরপরই শুরু হয় লাঠালাঠি। একের পর এক লাঠির বাড়ি। অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল দলীয় অফিসে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল তৃণমূলের পতাকা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের নবকলা গ্রাম। পরস্পরকে লক্ষ্য করে কাচের বোতলও ছুঁড়েছিল দু’পক্ষ। এই ঘটনায় ৮ জন জখম হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন, তেড়েফুঁড়ে বৃষ্টি আজ থেকেই ? ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কোথায় কোথায় ?
এখানেই শেষ ন, বাইশে কসবায় সংঘর্ষে মোড় নেয় দু’পক্ষ । থানার সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীদের অভিযোগ ছিল, বহিরাগতদের নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায় ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীরা। কসবা থানায় (Kasba Police Station) অভিযোগও দায়ের হয়। কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় সেবার কসবা থানার সামনে (Kasba Police Station) অনুগামীদের নিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন লিপিকা মান্না। সুশান্ত ঘোষের অনুগামীরা চলে আসায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায় বলে অভিযোগ।