Nadia News: পরিচ্ছন্ন ট্রেনের দাবিতে রানাঘাট স্টেশনে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ যাত্রীদের
Nadia Rail Blocked: যাত্রীদের দাবি, ডাউন রানাঘাট লোকাল ট্রেনের প্রত্যেকটি কামরায় বাথরুমগুলি রীতিমতো অপরিচ্ছন্ন। পরিষ্কার করার জন্য একাধিকবার রানাঘাট স্টেশন মাস্টারকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: অপরিচ্ছন্ন ট্রেনের পরিবর্তে পরিচ্ছন্ন ট্রেনের দাবিতে নদিয়ায় (Nadia) রেল (Rail Blocked) অবরোধ যাত্রীদের। ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ট্রেনযাত্রীদের। নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat Station)স্টেশনে ট্রেন যাত্রীরা ডাউন লালগোলা ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, লালগোলা থেকে ডাউন একটি ট্রেন রানাঘাট পর্যন্ত আসে। সেই ট্রেনটি রানাঘাট শিয়ালদা ডাউন ট্রেন করা হয়। ডাউন রানাঘাট লোকাল ট্রেনের প্রত্যেকটি কামরায় বাথরুমগুলি রীতিমতো অপরিচ্ছন্ন। পরিষ্কার করার জন্য একাধিকবার রানাঘাট স্টেশন মাস্টারকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। শিয়ালদা রানাঘাট মেইন শাখায় সকাল সাড়ে সাতটা থেকে অবরোধ শুরু হয়। এরফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে একাধিক ডাউন ও আপ ট্রেন। এ কারণে ভোগান্তির শিকার হন অন্যান্য ট্রেন যাত্রীরা।
এদিকে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া আমোদপুর লাইনে শিবলুন স্টেশনের কাছে রেল অবরোধের জেরে দুর্ভোগ যাত্রীদের। আজ সকালে রেল অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, ট্রেনের ভাড়া কমাতে হবে। ওই রুটে বাড়াতে হবে ট্রেনের সংখ্যা। সকাল ৯টা থেকে কয়েক ঘণ্টা চলে রেল অবরোধ। কাটোয়া থেকে জিআরপি এবং আরপিএফ কর্মীরা যান ঘটনাস্থলে। তাঁদের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
অন্যদিকে, পুরভোটের জল্পনার মধ্যে বীরভূমের হাটজনবাজারে রেলওভারব্রিজ তৈরির কাজ কতটা এগোল, খতিয়ে দেখলেন স্থানীয় সাংসদ শতাব্দী রায়। রেলের তরফে যাতে দ্রুত কাজ শেষ করা হয়, সেই আর্জি জানান তিনি। সাংসদের সফর ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
জানুয়ারিতে চারটি কর্পোরেশনে ভোট। তারপর আরও শতাধিক পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা। এই আবহে বীরভূমের হাটজনবাজারে রেল ওভারব্রিজ তৈরির কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখলেন এলাকার তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সঙ্গে ছিলেন সিউড়ি পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের একাংশ। সিউড়ি পুরকর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ওভারব্রিজ তৈরির জন্য তারা দখলদার সরিয়ে এলাকা পরিষ্কার করে দিলেও, অহেতুক দেরি করছে রেল। সাংসদের উপস্থিতিতে রেল আধিকারিকের সামনে বিষয়টি নিয়ে সরব হন তাঁরা। সেই প্রসঙ্গ তুলে রেলকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য কড়া বার্তা দেন তৃণমূল সাংসদ।
সাংসদ এলাকা ঘুরে যাওয়ার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের কাটমানি সংস্কৃতির কারণেই বাধা পাচ্ছে রেলের কাজ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
বীরভূমের জেলা সদর সিউড়ি স্টেশনের পাশেই রয়েছে হাটজনবাজার এলাকা। ওই এলাকার ওপর দিয়ে গিয়েছে সিউড়ি-বোলপুর রাজ্য সড়ক। কিন্তু ট্রেন চলাচলের জন্য বারবার রেলগেট পড়ায় নিত্যদিন যানজট লেগেই থাকে এলাকায়। সমস্যার সমাধান করতে ২০১৭ সালে হাটজনবাজারে রেললাইনের ওপর ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়। তা আজও শেষ হয়নি। পুরভোটের আবহে সেই রেল ওভারব্রিজকে ঘিরেই চলছে রাজনৈতিক তরজা।