CBI: ফোন নম্বর কার? কোথা থেকে এসেছিল ফোন ? প্রাথমিকে দুর্নীতিতে এবার স্ক্যানারে 'পর্ষদের' ফোন নম্বর
এই নম্বর তদন্তের জন্য সিবিআইকে আজ নির্দেশ দেন বিচারপতি। এ দিকে প্রাথমিকে ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা: প্রাথমিকে দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআই স্ক্যানারে 'পর্ষদের' ফোন নম্বর। ফোন নম্বর কার ? কোথা থেকে এসেছিল ফোন ? সিবিআইকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২০১৭-য় পর্ষদের অফিস থেকে ফোন আসার দাবি করেন এক চাকরিপ্রার্থী। পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে দেখা করে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়, দাবি চাকরিপ্রার্থীর। এই নম্বর তদন্তের জন্য সিবিআইকে আজ নির্দেশ দেন বিচারপতি। এ দিকে প্রাথমিকে ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৪০ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিকে ২৬৮ জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান ২৬৮ জন। নিজেদের বক্তব্য পেশ করার জন্য ২৬৮ জনকে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে ৫৪ জন প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রেখেছেন বিচারপতি। আজ ফের ১৪০ জনের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
সর্বোচ্চ আদালত ( Supreme Court ) প্রথমে চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ দিলেও, বিচারপতি মামলা পাঠিয়েছিলেন হাইকোর্টে ( Kolkata High Court )! কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না! প্রাথমিকে ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল আদালত। এমনকি তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও বহাল রাখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ( Abhijit Ganguly ) ।
টেটে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ
২০১৪’র প্রাথমিকে টেটে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বেআইনিভাবে বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়ার পাশাপাশি ফেল করে, এমনকি পরীক্ষা না দিয়ে, ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ সামনে আসে। গত বছরের ১৩ জুন, সেই ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্ত ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা
এরপর বরখাস্ত হওয়াদের একাংশ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন।কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সিলমোহর দেয়। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। ২০২২-এর ১৮ অক্টোবর, সর্বোচ্চ আদালত ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, কলকাতা হাইকোর্ট ২৬৯ জনকে মামলায় যুক্ত করবে।
মোট ১৯৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল
এরই মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে, চাকরি ফিরে পান একজন। ফলে ২৬৯ থেকে সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ২৬৮। এই পরিস্থিতিতে গত ২৩ ডিসেম্বর, ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আর বুধবার আরও ১৪০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন তিনি। এ নিয়ে মোট ১৯৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল হল।