Baguiati : "এই পৃথিবীতে আমি যে একা হয়ে গেলাম", কান্নায় ভেঙে পড়লেন নিহত অতনুর মা !
Baguiati Murder : বাগুইআটিতে অপহরণের পরে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে
সত্যজিৎ বৈদ্য, বাগুইআটি : কিশোর বয়সেই থেকে গেছে জীবন ! অভিষেক নস্কর (Abhishek Naskar) ও অতনু দে-র (Atanu Dey) মৃতদেহ উদ্ধারের পর শোকে বিহ্বল তাদের পরিবার পরিজন। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অতনুর মা। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি বলে চলেছেন, "এই পৃথিবীতে আমি যে একা হয়ে গেলাম। কে আমাকে মা বলে ডাকবে।"
শোকে-পাথর অতনুর মা-
এরপরই পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সন্তানহারা মা। তিনি বলেন, "এরা আইনের লোক কেউ কিছু করে না। এরা শুধু দেখে। আগেও কেউ কিছু করেনি, এখনও কেউ কিছু করবে না। তাহলে আমার অতনুর এই অবস্থা হতো না। এরা শুধু সাজানো প্রচার করে থাকে।"
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন অতনুর দিদিমাও। তিনি বলেন, "এখন কী করে মৃতদেহ পাওয়া গেল ? এতদিন কেন পায়নি ? এতদিন কী করছিল পুলিশ ? ঘুমাচ্ছিল ? যে-ই লাশটা পাওয়া গেছে, গুণ্ডা ধরেছে। পুলিশ মিডিয়াকে জানাতে বারণ করেছিল। বলেছিল, টু শব্দ করবেন না। আমরা ঠিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। "
আরও পড়ুন ; বাগুইআটিতে অপহরণের পরে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ! গ্রেফতার ৪
বাগুইআটিতে অপহরণের পরে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে। বাসন্তীরই দুই পৃথক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ। মৃতদের নাম অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। নয়ানজুলিতে তাদের দেহগুলি পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী-সহ ২ জন এখনও ফেরার। পুলিশের দাবি, অপহরণের পর চলন্ত গাড়িতেই ওই দুই ছাত্রকে খুন করা হয়।
গত ২২ অগাস্ট বাগুইআটির জগত্পুর থেকে দুই ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে এসএমএস পাঠায় অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপর ২৩ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ২৪ অগাস্ট নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার পরেও পুলিশ তৎপর হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল খবরের ভিত্তিতে অভিজিৎ বোস নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘক্ষণ পুলিশি জেরায় সে ভেঙে পড়ে। স্বীকার করে নেয়, ২২ তারিখে সে, সত্যেন্দ্র এবং আরও ২-৩জন মিলে তারা ওই দুই কিশোরকে গাড়ির মধ্যেই গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলে। বাসন্তী হাইওয়ের ওপর কোনও একটা জায়গায়। তখন রাত ৯টা থেকে ১০টা। তারপর বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে আরও একটু এগিয়ে ক্যানেলের দুটি পৃথক জায়গায় মৃতদেহ দুটি ফেলে দেওয়া হয়।