Job Seekers Agitation: বারাসাতে সৌগত রায়, নির্মল ঘোষদের গাড়ি ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ টেট উত্তীর্ণদের, ১ ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ যশোর রোড
Barasat Agitation: কিছুক্ষণ আগে ওই অনুষ্ঠানেই সম্ভবত যোগ দিতে আসছিলেন সৌগত রায় ও নির্মল ঘোষ। তাঁদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।

সমীরণ পাল, বারাসাত : নিয়োগের দাবিতে সৌগত রায়, নির্মল ঘোষদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কের গাড়ি ঘিরে চাকরিপ্রার্থীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। দ্রুত নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন ২০২২ টেট উত্তীর্ণরা। বারাসাতে রবীন্দ্রভবনের সামনে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা। এর জেরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভের জেরে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে যশোর রোড। তৃণমূলের শিক্ষা সেলের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আসার আগেই বিক্ষোভ।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, যেখানে যেখানে শিক্ষামন্ত্রী যাবেন সেখানেই তাঁরা পৌঁছে যাবেন। কারণ, কয়েকদিন আগে তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) কথা দিয়েছিলেন যে, দু'দিনের মধ্যে ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ১৫ দিন প্রায় কেটে গেল, কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তারই দাবিতে আজ তাঁরা বারাসাত স্টেশন থেকে মিছিল করে আসেন। ব্যারিকেড ভেঙে তাঁরা প্রথমে রবীন্দ্র ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। রবীন্দ্র ভবনে তাঁদের আটকানো হয়। সেই সময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান।
কিছুক্ষণ আগে ওই অনুষ্ঠানেই সম্ভবত যোগ দিতে আসছিলেন সৌগত রায় ও নির্মল ঘোষ। তাঁদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, তাঁদের একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিতে হবে। নাহলে তাঁরা এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে আটকে সাংসদ-বিধায়ক।
৫০ হাজার শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর পথে নামেন টেট উত্তীর্ণরা। ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণদের আচমকা বিধানসভা অভিযান ঘিরে রাজপথে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিশকে কখনও কাকুতিমিনতি করতে দেখা যায় তাঁদের, কখনও কান্নায় ভেঙে পড়েন। ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে আচমকা বিধানসভা ভবনের দিকে দৌড় দেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের তাড়া করে পুলিশ। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের।
যা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, "এটার কোনও মানে নেই। যেখানে পর্ষদ সভাপতি কিছুদিন আগে বলেছেন, খুব শীঘ্র যেখানে ভ্যাকেন্সি লিস্ট পর্ষদ ঘোষণা করতে যাচ্ছে...। আর এক-দু'দিনের মধ্যেই হয়ত এটা বেরোবে। এর পিছনে কী উদ্দেশ্য আছে আমি জানি না। পর্ষদ সভাপতি নিজে কয়েকদিন আগে এটা নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু, ভ্যাকেন্সি কত আছে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। খুব পরিষ্কার। ডিপিএসসি থেকে রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করছি। ডিপিএসসি যেখানে এখনও রিপোর্ট দেয়নি, সেখানে ৫০-৫১ হাজার বলে খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে এটার কোনও মানে নেই। আমি আবার পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করব আমাদের জেলা স্তরে ভ্যাকেন্সি নির্ণয়ের কাজ প্রায় শেষ। খুব শীঘ্র এটা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। এই ধরনের ২০২২-এর প্রাথমিকে যাঁরা আন্দোলন করছেন, এই আন্দোলনের এখন আর কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমার অন্তত মনে হচ্ছে না।"






















