ট্রেকিং-এ গিয়ে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে মদন মিত্র, নিজে গিয়ে দেহ আনার আশ্বাস বিধায়কের
এখন আত্মীয় স্বজনরা চাইছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর দেহ যেন বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জিও জানিয়েছে পরিবার
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ট্রেকিং-এ গিয়েছিলেন হিমাচলে। আর ফেরা হল না সশরীরে। এখন ভাস্কর দেব মুখোপাধ্যায়ের নিথর দেহর অপেক্ষার দিন গুনছে পরিবার। আজ মৃত ভাস্কর দেব মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে আসেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তিনি নিজেই দেহ আনতে যাবেন বলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
ব্যারাকপুর আনন্দপুরী মিডিল রোডের সানরাইজ আবাসনে বাস করতেন ভাস্কর দেব মুখোপাধ্যায়। গত ১১ সেপ্টেম্বর তিনি একটি দলের সঙ্গে ট্রেকিং করতে যান হিমাচল প্রদেশে। মানালি হয়ে থেমেঙ্গার দিকে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে নেমে আসার পরেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আতস্মিক মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ পরিবার।
এখন আত্মীয় স্বজনরা চাইছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর দেহ যেন বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জিও জানিয়েছে পরিবার। পরিবার সূত্রে খবর, বহু বছর ধরেই ট্রেকিং করতেন অবসর প্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী ভাস্কর দেব মুখোপাধ্যায়। এমন পরিণতির কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেনি তাঁর পরিবার।
হিমাচলপ্রদেশে ট্রেকিং করতে যাওয়া, উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা, দুই বাঙালির মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে গত ২৭ সেপ্টেম্বর। অতিরিক্ত উচ্চতায় অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যু বলে অনুমান পরিবারের। মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন মৃতদের পরিবার।
ট্রেকিং করাই ছিল দু’জনের নেশা। আর সেই ট্রেকিং-ই কাড়ল প্রাণ। সন্দীপ কুমার ঠাকুরতা বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। অন্যজন ভাস্করদেব মুখোপাধ্যায় ব্যারাকপুরের বাসিন্দা
বেলঘড়িয়ার যতীন দাস নগরের বাসিন্দা, বারুইপুর হাইস্কুলের শিক্ষক সন্দীপ কুমার ঠাকুরতা এবং ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী মিডল রোডের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী ভাস্করদেব মুখোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবার জানিয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর ট্রেকিংয়ের জন্য, একটি দলের সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে রওনা দেন দু’জনে। মানালি থেকে বাতাল হয়ে থেমেঙ্গার দিকে ট্রেক করতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
পরিবারের অনুমান, অত উচ্চতায় অক্সিজেনের অভাবে অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে দু’জনের। সোমবার সকালে মৃত্যুর খবর আসার পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুই পরিবারে। এই পরিস্থিতিতে মৃতদেহ দ্রুত বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে মৃতদের পরিবার। আগামী ৩ অক্টোবরই ট্রেকিং সেরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল দু’জনের। কিন্তু তাঁর পাঁচদিন আগে বাড়িতে এল তাঁদের মৃত্যু সংবাদ।