Bhatpara Shootout: পুরসভার বরাত বিবাদেই খুন, ভাটপাড়ায় ব্যবসায়ী খুনে নতুন তথ্য
Bhatpara Murder News: ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় শ্যুটআউটের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শনিবার সকালে, বাড়ির সামনেই বসেছিলেন ইমারতি ব্যবসায়ী।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভাটপাড়ায় (Bhatpara) ব্যবসায়ী (Businessman) খুনে (Murder) নতুন তথ্য। সূত্রের খবর, পুরসভায় (Municipality) ৪ লক্ষের বেশি টাকার বরাত পেয়েছিলেন ইমারতি ব্যবসায়ী সালামউদ্দিন আনসারি। খুনের নেপথ্যে পুরসভার টেন্ডার (Tender) সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল ওই ব্যবসায়ীর ওপর প্রায় ১০-১২ জন মিলে হামলা চালায়। ৮ রাউন্ড গুলি চলে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে। ৭ জনের নামে FIR করেছে নিহতের পরিবার। সালামউদ্দিনের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় ১১টি অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ফলে ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি পুরনো বিবাদের জের, কী কারণে খুন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় শ্যুটআউটের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শনিবার সকালে, বাড়ির সামনে বসেছিলেন ইমারতি ব্যবসায়ী। সেই সময়, এক প্রতিবেশী-সহ কয়েকজন পরিচিত এসে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ির কাছেই পরপর গুলি করা হয়। মাথা-সহ শরীরের একাধিক জায়গা গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ইমারতি ব্যবসায়ীর।
আরও পড়ুন, ভাটপাড়ার পর এবার জগদ্দল, মদের আসরে পরিচিতের হাতে খুন ১৯ বছরের তরুণ
হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে খুন করে ঘোষপাড়া রোড হয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে দাবি, ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসার পাশাপাশি ঠিকাদারির কাজ করত নিহত সালামউদ্দিন আনসারি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, সমাজবিরোধীদের এলাকা দখলের জন্যই এই খুন। তবে এবার তদন্তে নয়া সূত্র পাওয়া যেতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এদিকে, ভাটপাড়ার পর এবার জগদ্দল। ১২ ঘণ্টার মধ্যে ফের উত্তর ২৪ পরগনায় খুন। রাতে মদের আসরে পরিচিতর হাতে খুন ১৯ বছরের তরুণ। মৃতের নাম রোহিত দাস। জগদ্দলের ২৬ নম্বর রেলগেটের কাছে শান্তিনিবাস পল্লির ঘটনা। পরিবার সূত্রে খবর, টিটাগড় জুটমিলের শ্রমিক রোহিত গতকাল রাতে কাজে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়ির সামনে থেকে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই তরুণকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। কী কারণে খুন, খতিয়ে দেখছে জগদ্দল থানার পুলিশ।