North 24 Parganas: ২ বিজেপি কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, পাল্টা গাছে বাঁধার 'হুমকি' বিজেপি নেতার
BJP Leader Allegedly Threatened TMC: বিজেপি কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গাছে পিঠ মোড়া দিয়ে বাঁধার 'হুমকি' দিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বিজেপি কর্মীকে মারধরে ((BJP Leader Allegedly Threatened TMC Leader) অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গাছে পিঠ মোড়া দিয়ে বাঁধার 'হুমকি' দিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি (Bangaon BJP Organizational Secretary)। অভিযুক্ত বিজেপি নেতার নাম দেবদাস মণ্ডল। অভিযোগ, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি গাড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য়া সীমা পাণ্ডে শর্মার স্বামী অভিজিৎ শর্মাকে গাছে পিঠ মোড়া দিয়ে বাঁধার হুমকি দিয়েছেন।রবিবার রাতে এই অভিজিতের বিরুদ্ধে ২ বিজেপি কর্মীর উপর হামলা চালানোর উপর অভিযোগ ওঠে। তার পর এই ঘটনা।
কী জানা গেল?
গত রবিবার রাতে দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে প্রণব ঘোষ এবং তন্ময় বিশ্বাস নামে ২ বিজেপি কর্মীর উপর অতর্কিতে হামলা করেছেন অভিজিৎ, এমনই অভিযোগ করে বিজেপি। ঘটনার প্রতিবাদে গত কাল অর্থাৎ সোমবার, কলমবাগান বাজার এলাকায় বনগাঁ-বাগদা রাজ্য় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় পদ্মশিবিরের নেতারা। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বনগাঁ থানা ঘেরাওয়েরও ডাক দেন দেবদাস মণ্ডল। অভিযোগ, তিনি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গাছে পিঠ মোড়া দিয়ে বাঁধার হুমকি দিয়েছেন। যদিও বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত।
রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ নতুন নয়। গত সেপ্টেম্বরে এই হাতাহাতির এক অন্য ছবি ধরা পড়েছিল কলকাতা পুরসভায়। সে বার দস্তুরমতো মারপিটে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল এবং বিজেপি কাউন্সিলররা। ধাক্কাধাক্কি, পরস্পরের উদ্দেশ্যে আঙুল উঁচিয়ে শাসানি, বাদ যায়নি কিছুই। ঘটনার সূত্রপাত, তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দের একটি প্রশ্ন ঘিরে। যার পর বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ এবং বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ান ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু।
জের...
পুরসভার ওই ঘটনা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে যখন তুমুল আলোড়ন, তখনই তৃণমূলকে একরকম হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, 'সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে পুরসভায় বিজেপি কাউন্সিলরদের যদি মারধর করা হতে পারে, লোকসভায় আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূলীদের প্রতি একই প্রথা প্রয়োগ হলে কেমন হয়?' কলকাতা পুরসভার ওই ঘটনা বাদ দিলে ছোট-বড় নানা ধরনের এমন অভিযোগ আকছাড় শোনা যায় এই রাজ্যের রাজনীতিতে। কখনও বিরোধী শিবিরের নেতাদের অভিযোগের আঙুল ওঠে শাসকদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে, কখনও আবার উল্টোটাও ঘটে।
এক্ষেত্রে এক ঘটনার সূত্রেই পর পর দু'টি অভিযোগ।
আরও পড়ুন:মহুয়ার পাশে দল, তাপসকে কেন দূরে ঠেলা হল, বিস্ফোরক প্রয়াত অভিনেতার পরিবার