North 24 Parganas:ভোর রাতে বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন, প্রাণ হারালেন বাবা ও ছেলে
Fire Kills 2:ভোর রাতে বিরাটির মহাজাতি নগরে বিধ্বংসী আগুনে প্রাণ হারালেন নবতিপর বাবা ও ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা। কী ভাবে লাগল আগুন? তদন্তে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
আবির দত্ত ও জয়ন্ত পাল, বিরাটি: ভোর রাতে বিরাটির (birati) মহাজাতি নগরে (mahajati nagar) বিধ্বংসী আগুনে (fire) প্রাণ হারালেন (dead) নবতিপর বাবা (father) ও ছেলে (son)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা (mother)। কী ভাবে লাগল আগুন? তদন্তে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
কী ঘটেছিল?
ঘড়ির কাঁটায় ভোর সাড়ে চারটে। হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখায় দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বিরাটি এক নম্বর মহাজাতি নগরের একটি বাড়ি। পোড়া গন্ধ পান স্থানীয়রা। অনেকে আবার তার আগেই বিকট একটা আওয়াজ শুনেছিলেন বলেও দাবি।রাস্তায় বেরোতেই ওই দৃশ্য। প্রথমে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে দমকলকেও খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বাড়ির তিন সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ছেলে ও তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে বাঁচানো যায়নি। বৃদ্ধা মা এখনও চিকিৎসাধীন।
যা জানা গেল...
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, যে বাড়িতে আগুন লেগেছিল তাতে বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি থাকতেন। তবে একা নন, সঙ্গে থাকতেন বিদ্যুতের ৯২ বছরের বাবা। ছিলেন বৃদ্ধা মা-ও। পড়শিদের দাবি, বিদ্যুৎ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালাতেন। এদিন ভোর রাতে হঠাতই তাঁদের বাড়ি থেকে বিকট আওয়াজ শুনতে পান পড়শিরা। তড়িঘড়ি বেরিয়ে দেখেন ব্যানার্জি বাড়ি জ্বলছে। তাঁদের দাবি, বাড়ির বাসিন্দাদের ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। এর পরই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, কম্পিউটার থেকেই আগুন লেগেছিল। কিন্তু নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নেহাৎ কম নয়। দিনতিনেক আগেই টেরিটি বাজারের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় ১২০ বছরের পুরনো বাড়ির ছাদে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। বের করা হয় বাড়িতে থাকা একটি পরিবারের সদস্যদের। ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ নম্বর দামজানে লেনের ওই অগ্নিকাণ্ড ঘিরে উদ্বেগ ছড়ায় আশপাশের এলাকায়। বিপদগ্রস্ত বাড়িটি অত্যন্ত সংকীর্ণ গলির মধ্যে থাকায় আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও ছিল বলে মনে করছিলেন দমকলকর্মীরা। আবার দিনতিনেক আগে রিষড়ায় একটি বস্তিতে আগুন লেগে দুটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। সপ্তাহদুয়েক আগে আবার রিজেন্ট পার্কের বাগানপাড়ায় বাড়িতে আগুন, পুড়ে মৃত্যু একাকী বৃদ্ধার। জ্বলন্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। মোমবাতি থেকে ঘরে আগুন, প্রাথমিক ভাবে অনুমান করেছিল পুলিশ।
কিন্তু প্রশ্ন হল, একের পর এক ঘটনা সত্ত্বেও কেন সাবধান হচ্ছে না প্রশাসন? সাধারণ মানুষও কি যথেষ্ট সতর্ক হচ্ছেন?