Hingalganj News: পানীয় জলের পাইপ থেকে বেরিয়ে এল কেঁচো ও পোকামাকড় ! কাঠগড়ায় প্রশাসন
Hingalganj Polluted Drinking Water: হিঙ্গলগঞ্জবাসীর অভিযোগ, সরকারি পাইপ লাইনে যে জল সরবরাহ করা হয়, সেই জলের সঙ্গে আসছে কেঁচো ও পোকামাকড়। প্রশাসন এই ব্যাপারে একদম নির্বিকার.'.
সমীরণ পাল, হিঙ্গলগঞ্জ: জলই জীবন আর সেই পানীয় জলেই থিকথিক করছে কেঁচো ও পোকামাকড় (Hingalganj Polluted Drinking Water)। সেই জল পান করা অসম্ভব। হাত-পা ধোয়া বা স্নানের জন্যেও ব্যবহার করার অযোগ্য। সমস্যায় সুন্দরবনের ১৫-২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের হিঙ্গলগঞ্জ (Higalganj) পঞ্চায়েতের মামুদপুর, সাহাপুর, চার নম্বর ও ক্যাওড়াখালি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্ত এলাকায় সরকারি পাইপ লাইনে যে জল সরবরাহ করা হয় সেই জলের সঙ্গে আসছে কেঁচো ও একাধিক পোকামাকড়। ফলে জল ব্যবহার করা অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এছাড়াও তাদের আরও অভিযোগ, একদিন অন্তর একদিন জল আসে এবং সময় মতো জল আসে না। জল আসার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। এলাকার অধিকাংশ মানুষ গরিব, জল কিনে খাওয়ার সাধ্য নেই। তাই বাধ্য হয়ে এই জল ব্যবহার করছেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন। অনেকে খাওয়ার জন্য তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে গিয়ে খাওয়ার জল নিয়ে আসছে। আবার অনেকে সাধ্য না থাকলেও জল কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছে। অভিযোগ, এই জল পান করে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিন্তু তবুও বাধ্য হয়ে জল পান করতে হচ্ছে এবং ব্যবহার করতে হচ্ছে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করছেন।
গ্রামবাসীরা বলেন,' পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। বহুবার পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে কিন্তু পঞ্চায়েত কোনওরকম ব্যবস্থা করছে না। এক কথায় বলতে গেলে প্রশাসন এই ব্যাপারে একদম নির্বিকার।' যদিও হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান লতিফ গাজী ঘটনাটি স্বীকার করে নেন। জলে যে পোকা আসছে এটা তারা জানেন। তিনি জানান, এই সমস্যার কথা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সভাধিপতি এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও জলে পোকা আসছে এই বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন, BJP কর্মীকে 'খুনের' ২ বছর পার, FIR দায়ের না হওয়ায় বিস্মিত বিচারপতি
একুশ সালে ভবানীপুরের শশী শেখর বসু রোড এলাকায় পানীয় জলে যে দূষণের অভিযোগ উঠেছিল। দূষণের কথা স্বীকার করেছিল কলকাতা পুরসভা। তবে সেই দূষণের কারণেই যে মৃত্যু হয়েছিল তা মানতে রাজি হয়নি পুরসভা৷ ভবানীপুরের ২টি ওয়ার্ড ও আলিপুর মহিলা জেলে দূষিত পানীয় জল খেয়ে ৩ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় সূত্রে দাবি ছিল, ৭৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন ডায়েরিয়ায়। পাশাপাশি, আলিপুর মহিলা জেল সূত্রে খবর, সেখানে ১২ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন।