North 24 Paraganas: বিল বুজিয়ে চলছে বেআইনি নির্মাণ কাজ, অভিযোগে উত্তপ্ত দেগঙ্গা, ভাঙচুর পঞ্চায়েত অফিসে
Illegal Construction: এই নির্মাণের প্রতিবাদে নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারী বাসিন্দা আরিফুল ইসলামের কথায়, 'জল নিকাশী ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়বে।'
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বেআইনিভাবে বিল বুজিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ (illegal construction)! এই অভিযোগেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paraganas) দেগঙ্গার (Deganga) নুরনগর। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা চড়াও হলেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে (Panchayat office)। উপপ্রধানকে মারধরের চেষ্টার অভিযোগও উঠল। ঘটনার নেপথ্যে বিরোধীদের ইন্ধন দেখছে তৃণমূল (TMC)।
পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগে ভাঙচুর!
বিক্ষোভ-বচসা, পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে ঢুকে পড়লেন গ্রামবাসীরা। উপপ্রধানকে ধাক্কা থেকে মারধরের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। চলল ভাঙচুর। দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, শুরু হয়ে গেছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার যুদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে, পঞ্চায়েতে ঢুকে উপপ্রধানকে মারধরের চেষ্টার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার তৃণমূল পরিচালিত নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামবাসীদের দাবি, ৪ থেকে ৫টি গ্রামের জল নিকাশের মাধ্যম এই কালিয়ানি বিল। তাদের অভিযোগ, সেই কালিয়ানি বিল বেসরকারি কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিয়ে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু করেছেন তৃণমূল পরিচালিত নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এখানে নির্মাণকাজ হলে, মুখ থুবড়ে পড়বে ৪টি গ্রামের নিকাশি ব্যবস্থা।
শুক্রবার এই নির্মাণের প্রতিবাদে নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারী বাসিন্দা আরিফুল ইসলামের কথায়, 'জল নিকাশী ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়বে।'
বিজেপির দাবি, তৃণমূল যতদিন থাকবে অবৈধ কাজ চলবে। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, 'কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে অবৈধ বিল্ডিং নির্মাণ করছে। গ্রামের মানুষের অভিযোগ ছিল নিকাশি নালা বন্ধ করা যাবে না তা সত্ত্বেও জোরপূর্বক ভাবে এই নিকাশী নালা বন্ধ করে বিল্ডিং নির্মাণ হচ্ছে। তৃণমূল সরকার যতদিন থাকবে এইভাবে অবৈধ কার্যকলাপ চলতে থাকবে।'
যদিও, তৃণমূল পরিচালিত নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের একসুরে দাবি, বিরোধীরা চক্রান্ত করে পঞ্চায়েতের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও প্রধান উমা দাসের কথায়, 'গ্রামবাসীরা যে অভিযোগ করছে তা পঞ্চায়েতগতভাবে বসিয়ে সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। বিরোধীরা চক্রান্ত করে পঞ্চায়েতের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।' ভোটের আগে, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে শাসকদল।