North 24 Paraganas:করোনার দাপটের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনায় রক্তচক্ষু ডেঙ্গির
প্রতিবছরই বর্ষার সময় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। যদিও এবার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি পুরসভাগুলির।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বিধাননগর থেকে বরানগর। কামারহাটি থেকে মধ্যমগ্রাম। করোনা-আতঙ্কের মধ্যেই বাড়ছে, ডেঙ্গির প্রকোপ। তবে, প্রশাসন সূত্রে দাবি, এবছর উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেকটাই কম।
এখনও ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে মারণ ভাইরাস করোনা। রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এরইমধ্যে এবার ডেঙ্গির রক্তচক্ষু!উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি-পরিস্থিতি। উত্সবের আগে, বাড়ছে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের ভিড়।
প্রতিবছরই বর্ষার সময় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। যদিও এবার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি পুরসভাগুলির। কামারহাটি পুরসভার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বিমল সাহা বলেছেন, এখানে কিছু লোক ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রশাসক নিমাই ঘোষ জানিয়েছে, কয়েকটি জায়গায় সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, এবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, গতবারের তুলনায় তা অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান তুলে ধরে, সেখানে দাবি করা হয়েছে, এ বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, উত্তর ২৪ পরগনার শহরাঞ্চলে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৬২। সেখানে গতবার এই সংখ্যাটা ছিল ৭১৯। এবছর গ্রামীণ এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯।গতবার সেখানে আক্রান্ত হয় ১৪৯ জন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এবছর এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গেছে বিধাননগর পুর এলাকায়। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫। এরপরই রয়েছে বরানগর। সেখানে আক্রান্ত ১৮জন। ভাটপাড়া পুর এলাকায় ১৭ জন।দক্ষিণ দমদমে ১১ জন।মধ্যমগ্রামে ১০ জন। কামারহাটিতে ৯ জন।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেছেন, কয়েকটি জায়গায় প্রকোপ বেড়েছিল। আমরা তত্পর আছি। হেল্থ টিম প্রস্তুত। ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুর এলাকায় প্রশাসনের তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে।