North 24 Pargana: অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার পুর প্রধান ঘোষণা আজ, বিতর্কিত ফেসবুক লাইভ পোস্ট পৌরপিতার
North 24 pargana News: একদিন আগেই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত পৌরপিতা ধীমান রায়ের অনুগামীদের একটি লাইভ পোস্ট ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ধীমান বাবু অনুগামীরা একটি ফেসবুক লাইভ করেন।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: অশোকনগর (ashoke nagar) কল্যাণগড় পুরসভার বৃহস্পতিবার পুর প্রধান এবং উপপ্রধান ঘোষণা হওয়ার কথা। অথচ তার একদিন আগেই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত পৌরপিতা ধীমান রায়ের অনুগামীদের একটি লাইভ পোস্ট ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রাক্তন বিধায়ক তথা এবারে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী ধীমান বাবু অনুগামীরা একটি ফেসবুক লাইভ করেন সেখানে দেখা যায় ধীমান বাবু কে উদ্দেশ্য করে ফুল ছুড়ছেন মহিলা সমর্থকরা এবং স্লোগান চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে।
আর এই বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে উত্তাল তৃণমূল কংগ্রেস এর অন্দরে। অশোকনগর তৃণমূল এসসি এসটি সেলের সভাপতি প্রবীর মজুমদার এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন তাঁর অভিযোগ যেভাবে অনুগামীরা ফুল বর্ষণ করছেন এবং ফেসবুক লাইভ করছেন তা হাস্যকর। পুর প্রধান ঘোষণার আগেই তাঁকে পৌর প্রধান হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে বলেও তার অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধীমান বাবু।
তাঁর মতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি নির্বাচিত হওয়ায় কিছু অতি উৎসাহী অনুগামীরা অশোকনগর ৮ নম্বর কালিবাড়ি মোড় এর কাছে তার নিজস্ব অফিসে এসে পড়েন এবং আনন্দ-উৎসব মেতে ওঠেন। তবে তা পৌর প্রধান নির্বাচিত হবেন সেই হিসাবে নয় তিনি সদ্য ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী হয়েছেন তার জন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন এবং ফেসবুকে লাইভ করেছিলেন। অন্যদিকে ফেসবুক লাইভ এর তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। বারাসাত সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তাপস মিত্র বলেন ধীমান বাবুরা যেভাবে লাইভ পোস্ট করেছেন তা সত্যি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখে হাসছেন। পৌর প্রধান ঘোষণার আগেই যেভাবে তাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখানো হয়েছে তা ঠিক নয়। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে এই বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে যথেষ্টই বিরক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। দলের নির্দেশে বন্ধ খামের ভেতর রয়েছে অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভা ভাবি পুরপ্রধান এবং উপ পুরপ্রধান এর নাম। রাজনৈতিক মহলে আলোচনায় উঠে এসেছে প্রাক্তন পৌরপ্রধান প্রবোধ সরকার ফের একবার পুরপ্রধান হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। উপ পুরপ্রধান হিসেবে ধীমানবাবু কে ভাবছে দল। যদিও ধীমান রায় আদৌ উপপ্রধান পদে শপথ নিতে রাজি হন কিনা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সব মিলিয়ে এই বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে তৃণমূলের অন্দরে।