North 24 Pargana News: 'বর্ধমানে আছি' বলে শেষ ফোন, বামুনগাছির ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার রাজস্থানে
গত বুধবার রাজস্থান পুলিশের কাছ থেকে ফোন পায় তমাল সরকারের পরিবার। ফোনে পরিবারকে জানানো হয়েছে পুলিশ স্টেশনের কাছের একটি রেল লাইন থেকে তমাল সরকারের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সমীরণ পাল, বামুনগাছি: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বামুনগাছির (Bamungachi) ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ (Businessman Deadbody) উদ্ধার হল রাজস্থান থেকে। গত শুক্রবারের ঘটনা। এদিন তিনি রামপুরহাট (Rampurhat) যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। কিছুক্ষণ বাড়িতে ফোন করে জানান যে তিনি বর্ধমানে (Burdwan) রয়েছে। তবে সে সবের কোথায় কী! পরিবারকে অবাক করে কিছুদিন পরই ওই ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করা রাজস্থান (Rajasthan) থেকে। জানা গিয়েছে বছর ৫৪-র ওই মৃত ব্যবসায়ীর নাম তমাল সরকার।
গত বুধবার রাজস্থান পুলিশের কাছ থেকে ফোন পায় তমাল সরকারের পরিবার। ফোনে পরিবারকে জানানো হয়েছে পুলিশ স্টেশনের কাছের একটি রেল লাইন থেকে তমাল সরকারের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাঁকে ভিনরাজ্যে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে এবং দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই এমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বাংলায় এসে রহস্যমৃত্যু হয় গুজরাতের ব্যবসায়ীর। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে একটি হোটেল থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। বারাসত সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। কীভাবে মৃত্যু, জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম মহেশ কুমার রামপ্রসাদ আগরওয়াল। বয়স ৫২। তিনি গুজরাতের সুরাতের বাসিন্দা।
হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী গত ৬ নভেম্বর হোটেলে উঠেছিলেন। সোমবার সকালে হোটেল ছাড়ার কথা ছিল। এদিন সকালে ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পেয়ে ফোন করা হয় পুলিশকে। বারাসতের যে হোটেলে গুজরাতের ওই ব্যবসায়ী উঠেছিলেন সেই হোটেলের ম্যানেজার বলেছেন, '৬ তারিখ এসেছিলেন। বলেছিলেন ব্যবসার কাজে এসেছি। দুদিনের বুক করে টাকা দিয়ে দেন। দু’দিন ধরে নিচে নামেননি। আজ পুলিশ উদ্ধারের সময় বেঁচেছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।' কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল ওই ব্যবসায়ীর? অসুস্থতা থেকে মৃত্যু না কি আত্মহত্যা, না নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে- তার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।