North 24 Pargana News : কল্যাণগড় পৌরসভায় বৌদি বনাম ননদ ! তুঙ্গে পারিবারিক তরজা
North 24 Pargana News Update : তৃণমূল প্রার্থী না করায় রবিবার সদলবলে কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। ইতিমধ্যেই ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মৌসুমী রায়।
সমীরণ পাল , অশোকনগর: কল্যাণগড় পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এবার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি! সম্মুখ সমরে বৌদি আর ননদ! সাত নম্বর ওয়ার্ড এ এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করেছে প্রাক্তন পৌর মাতা দেবশ্রী রায়কে। অথচ তৃণমূলের হয়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন ননদ মৌসুমী রায় দে।
মৌসুমী টিকিট পাননি তৃণমূল থেকে। তাই তিনি এবার কংগ্রেস প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থী না করায় রবিবার সদলবলে কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। ইতিমধ্যেই ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মৌসুমী রায়।
১৯৯৮ সাল থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিকবার জয় পেয়েছেন র তৃণমূল নেতা নান্টু রঞ্জন রায়। তিনিই ছিলেন রাজ্যের প্রথম তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর মৃত্যুর পরেই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বে এখন রায়বাড়ি দ্বিধা-বিভক্ত। প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবশ্রী রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন মৌসুমী রায়। নান্টু রঞ্জন রায়ের ছেলে সুকান্ত রায় রবিবার দিদি ও কয়েকশ সমর্থক নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন। ইতিমধ্যেই সুকান্ত রায়কে কংগ্রেস ওয়ার্ড সভাপতি পদ দিয়েছে।
আরও পড়ুন :
বিজেপিতে যোগ দিলেন ভাটপাড়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা
সবমিলিয়ে গৃহযুদ্ধের পরিবেশ অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এই বিক্ষোভ কে কাজে লাগিয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হওয়ার কথা ভাবছে কংগ্রেস। যদিও বর্তমান প্রার্থী দেবশ্রী রায়ের অভিযোগ শ্বশুরের দেখানো পথ ছেড়ে, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়ে ঠিক করেননি তাঁরা। এখন তৃণমূলের গৃহ বিবাদকে কাজে লাগিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস। আরও কয়েকটি ওয়ার্ডেও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা বিভাস ভট্টাচার্য। সব মিলিয়ে প্রথম পর্বেই জমে উঠেছে ভোট তরজা। গৃহবিবাদকে কেন্দ্র করে এক সময় প্রায় অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলা কংগ্রেস এবার চাঙ্গা হয়ে উঠছে।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগণায় তৃণমূল শিবিরে বেড়ে গিয়েছে বিক্ষোভ। দিকে দিকে চলছে কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদ। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভে খড়দায় দফায় দফায় বিটি রোড অবরোধ করা হয় সোমবার। খড়দা পুরসভার সামনে অবরোধে সামিল হন দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। ৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের। মিনিট পনেরো পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।