TMC MLA: মাথার সব চুল কেটে ফেলবেন, কী নিয়ে চ্যালেঞ্জ তৃণমূল বিধায়কের ?
TMC MLA Narayan Goswami Attacks BJP: পঞ্চায়েত ভোটে যদি অর্ধেক আসনেও বিজেপি প্রার্থী দিতে পারে তাহলে নিজের মাথার চুল কেটে ফেলবেন, বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে গেরুয়া শিবিরকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর (TMC MLA Narayan Goswami )। পঞ্চায়েত ভোটে যদি অর্ধেক আসনেও বিজেপি প্রার্থী দিতে পারে তাহলে নিজের মাথার চুল কেটে ফেলবেন এবং নেড়া মাথাতেই থাকবেন এমনটাই জানালেন অশোকনগরের ঈশ্বরীগাছার এক সভায় নারায়ণ গোস্বামী (TMC MLA Narayan Goswami)।
নেড়া হওয়ার একাধিক ঘটনা
প্রসঙ্গত, রাজ্যে দলবদলের পর কর্মীদের নেড়া হওয়ার একাধিক ঘটনা দেখা গিয়েছিল, একুশের বিধানসভা ভোটের পর। অপরদিকে, আরও উদাহরণও রয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলায়, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জামিনের পর পুলিশ মন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee) চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন কৌস্তভ বাগচি। বলেছিলেন, 'আগে মাথার চুল কামাব তারপর কথা বলব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যতক্ষণ না উৎখাত করতে পারছি, আমার মাথার চুল আমি গজাব না।' প্রতিশ্রুতি রেখেই মাথা নেড়া করেছেন তিনি।
'সেলুনের খরচা বাড়বে'
তিনি বলেছিলেন, 'যতবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যু মুখে পড়েছেন, ততবার বোধ হয় কৌস্তভ হোঁচটও খাননি। নেড়া হলে যেটা সমস্যা, নেড়া বেলতলায় একবারই যায়। আর নেড়া রাস্তা দিয়ে গেলে যখন তখন উপর থেকে কাক-পায়রার সবকিছু মাথায় পড়ে।' সৌমিত্র খাঁও বলেছিলেন যে, 'আমার মনে হয়, নেড়া হলে একটা হবে আপনার সেলুনের খরচা বাড়বে।' যদিও এরপরই কৌস্তভকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'এটুকু আপনাকে বলি যে, অনন্ত ৩০ বছরের প্রোগ্রাম নিয়ে রাখুন। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্থ থাকেন, তাহলে অনন্ত ৩০ বছর নেড়া হতে হবে।'
আরও পড়ুন, প্রাণ বাঁচাতে খাটের তলায় আশ্রয়, কালিয়াগঞ্জে পুলিশকে বেধড়ক মারের ছবি ভাইরাল
এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নেড়া হওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূল বিধায়কের
প্রসঙ্গত, দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। এহেন পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই শাসকদল ও বিরোধীরা একে অপরকে তীব্র নিশানা করে চলেছেন। তবে এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নেড়া হওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীরও। হাবরা ২ নম্বর ব্লকের আইএসএফ নেতা ইমরান খান কয়েকশো কর্মী নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। সেই সভাতেই এসেছিলেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। অন্যদিকে ইমরান জানান, 'আইএসএফ করলেও তাদের সুরক্ষার ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে পারেনি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব। সে কারণেই তারা দল ছাড়ছেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারেন রাজ্যের উন্নয়ন করতে।'