Sandeshkhali Police Attacked: ১২ বছর আগে চাকরি পেয়েছিলেন পুলিশে, কেমন আছেন সন্দেশখালির আহত কনস্টেবল ?
Sandeshkhali Constable Surgery successful: জখম কনস্টেবলের মাথায় অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় জমে থাকা রক্ত...
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, প্রদ্যোৎ সরকার ও ঝিলম করঞ্জাই, উত্তর ২৪ পরগনা: সন্দেশখালিতে ED-র পর এবার শীতুলিয়া ক্যাম্পে রক্তাক্ত হলেন পুলিশ কর্মী। ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে স্থানীয় তৃণমূলের দুই নেতা-সহ ৩ জনকে আটক করা হলেও, সন্দেহজনক কিছু না মেলায় রাতে ৩ জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। জখম কনস্টেবলের মাথায় অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় জমে থাকা রক্ত।
মাত্র ৩ মাসের ব্যবধান। ফের শিরোনামে সন্দেশখালি। ED-র পর এবার এখানে পুলিশ কনস্টেবলের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশ ক্যাম্পেই মাথা ফাটল কনস্টেবলের।চাঞ্চল্যকর ভাবে, এই ক্যাম্পেই কর্মরত পুলিশকর্মী তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছেন। এই অবস্থায়, প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূলের দুই স্থানীয় নেতা-সহ তিন জনকে আটক করে জেলা পুলিশ। যদিও রাতে সেই তিনজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের শীতুলিয়ার এই ফ্লাড সেন্টারের দোতলায় রয়েছে সন্দেশখালি থানার ক্যাম্প। সোমবার মাঝ রাতে এই ক্যাম্পেই মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন পুলিশ কনস্টেবল সন্দীপ সাহা। সেই সময় ক্যাম্পে ছিলেন ২ জন কনস্টেবল। তৃতীয় জন ছুটিতে ছিলেন। কনস্টেবল সন্দীপ সাহার উপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন ক্যাম্পেরই আরেক কনস্টেবল সৌমিত্র মণ্ডল।বিস্ফোরক দাবি করেছেন আক্রান্ত কনস্টেবলের সহকর্মী সৌমিত্র মণ্ডল ।
সন্দেশখালির আক্রান্ত কনস্টেবলের সহকর্মী সৌমিত্র মণ্ডল বলেছেন, 'ও যেগুলো চায় সেগুলো আমরা হয়তো করি না। এরকম ব্যাপার হতে পারে। আমরা হয়তো যে কাজগুলো করি, কোনও লোককে ধরে আনা। কেন ওকে ধরে নিয়ে আসনি? আমাদের সিভিকদের ওপর প্রেসার করে সরাসরি, ওকে কেন ধরে আনলি? আবার কেউ দেখা যাচ্ছে অন্য পার্টি করে, আমরা পার্টির সঙ্গে দেখি না। যেগুলো ক্রাইম করে বা কোনও অপরাধ করে, তাদেরকে ধরি, ধরে থানায় পাঠাই, ডাক করাই, বলি, এসবগুলো করি। এইগুলো ওদের পছন্দ নয়।' বিজেপি রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পাশে নেই বললেই হবে, অনুব্রত এখনও জেলা সভাপতি, বড় নেতা হলে পাশে, ছোট নেতা হলে ঝেড়ে ফেলে দেবে।
আরও পড়ুন, অন্ধ্রে পেট্রোলের দর কমল ৯২ পয়সা, আজ আপনার শহরে জ্বালানি কত ?
আক্রান্ত কনস্টেবল সন্দীপ সাহা, নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা। ১২ বছর আগে পুলিশে চাকরি পান।সন্দেশখালিতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৫ বছর। আহত পুলিশ কর্মীর মা গৌরী সাহা বলেন,' ভয় তো ভীষণ লাগছে। সব সময় তো চিন্তা হয়, জায়গা খারাপ, জায়গা খারাপ। ওদের তাহলে কতটা সাহস বলেন। মানে পুলিশের চাকরি করে, তাকেও ধরে পিটিয়ে দিচ্ছে, তাহলে ওদের কতটা সাহস। মানে পুরো গুন্ডাগর্দির জায়গা ওটা। ' আহত কনস্টেবল ভর্তি কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসে।মাঝ রাতে ক্যাম্পের মধ্যে কী করে রক্তাক্ত হলেন একজন কনস্টেবল? হামলা? নাকি অন্য কোনও কারণ? এখনও মেলেনি কোনও স্পষ্ট উত্তর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।