North 24 Parganas:স্কুলের ল্যাবে অ্যামোনিয়া গ্য়াস লিক, অসুস্থ শিক্ষক এবং ১০ ছাত্রী
Taki School Laboratory:স্কুলের ল্যাবে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে অসুস্থ ১০। টাকির ঘটনা। অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক ও ১০ জন ছাত্রী রয়েছেন।

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: স্কুলের ল্যাবে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে অসুস্থ ১০। টাকির ঘটনা। অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক ও ১০ জন ছাত্রী রয়েছেন। আপাতত যা খবর, তাতে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কী ভাবে গ্যাস লিক করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর কী জানা গেল?
ঘটনার সময় ছাত্রীদের নিয়ে ল্যাবে কাজ করছিলেন শিক্ষক। হঠাৎই অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে বলে প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েন ১০ জন। বুঝতে পেরে দ্রুত ছুটে আসেন বাকি শিক্ষক ও ছাত্রীরা। অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁদের টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন এই ল্যাবরেটরি খোলা হয়নি। সেই কারণের সঙ্গে কোনও ভাবে এই ঘটনার যোগ রয়েছে কিনা, বোঝার চেষ্টা চলছে। এদিনের পর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুলের অন্যান্য ছাত্রীরা। ছাত্রীদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয় স্কুলে। তবে আশার কথা, অসুস্থ শিক্ষক ও ১০ জন ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্কুলে বিপর্যয়...
স্কুলে বিপর্যয়ের ঘটনা এই প্রথম নয়। কখনও ক্লাসরুম, কখনও পরীক্ষাগার, কখনও আবার দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে স্কুলে। গত বছর নভেম্বরেই যেমন স্কুলের দেওয়াল এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল মালদায়। তার ঠিক পরের দিন স্কুলের দেওয়াল ভেঙেই ছাত্র-মৃত্যু ঘটে পুরুলিয়ায়। সেই দিন, অর্থাৎ ১১ নভেম্বর, মুর্শিদাবাদে স্কুলে সিলিং ফ্যান ভেঙে জখম হন ২ জন। পরে পুরুলিয়ায় ফের স্কুলের ছাদ থেকে ভেঙে পড়ে চাঙড়। পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের অবস্থা শোচনীয়। তাঁদের অভিভাবকদের বক্তব্য ছিল, 'আমরা অনেকদিন থকে বলছি। মেরামত করা হয়নি। আতঙ্কে আছি। পাশাপাশি তাঁদের আশঙ্কা, দেখেছি স্কুলের অবস্থা শোচনীয়। ভয় হচ্ছে, কীভাবে ছেলেমেয়েদের পাঠাব।' সেই দিনের পর প্রশাসনকে দ্রুত স্কুল বিল্ডিং মেরামতির আর্জি জানান কর্তৃপক্ষ। পারাবেলিয়া কোলিয়ারি হাইস্কুলের টিচার ইন চার্জ সত্যপ্রিয় গুরু বলেন, 'এই মাসেই দায়িত্ব নিয়েছি। এসেই মেরামতের জন্য বিডিও-কে জানিয়েছি। দ্রুত মেরামত করা হোক।' আপাতত বারান্দার ওই রাস্তা বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।' কিন্তু ঘটনা হল, স্কুলের মতো অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কি আগে থেকে জোরাল করা সম্ভব নয়? কেন একের পর এক দুর্ঘটনার পরই টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের? প্রশ্ন ছিল, আছেও।
আরও পড়ুন:'বাংলায় ৬ লক্ষ পদ লোপ,২ কোটি বেকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে', রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
