Suvendu Adhikari: 'বাংলায় ৬ লক্ষ পদ লোপ,২ কোটি বেকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে', রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari on Govt: এদিন শুভেন্দু বলেন, 'ভিলেজ পুলিশদের বেতন কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করেননি। ৬ লক্ষ পদের বিলোপ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা কেন ১০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করবেন?'
কলকাতা: রাজ্যে (West Bengal) চাকরি (Job), কর্মসংস্থান এবং কৃষি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কর্মসংস্থান 'বিলোপ' এই দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা কষ্টে রয়েছেন। চাষিরা দাম পাচ্ছেন না, ফড়েরা দালালি করছে।' মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর।
এদিন শুভেন্দু বলেন, 'ভিলেজ পুলিশদের বেতন কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করেননি। ৬ লক্ষ পদের বিলোপ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা কেন ১০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করবেন? বাংলায় ২ কোটি বেকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীরা বসে আছেন, আলোচনা করে সমাধান করা যাচ্ছে না? এই সরকার অমানবিক-দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার'।
আরও পড়ুন, চড়া দামে সদ্যোজাতকে বিক্রি করলেন মা! কলকাতায় বাড়ছে শিশু চুরি চক্র?
এছাড়াও, এবার বিধানসভায় DA নিয়ে সরব বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। সম কাজে সম বেতন, অস্থায়ী কর্মীদের বেতন কাঠামো তৈরির দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্য সরকার অনুমোদিত কয়েক লক্ষ পদ খালি, কিন্ত নিয়োগ হচ্ছে না। মেধাবীরা রাস্তায় বসে, সরকার আলোচনা করে সমস্যা মেটাক, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর।
পাশাপাশি, ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারকে ফের আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মশার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্য়র্থ বলে এবার বিএসএফের ঘাড়ে দোষ চাপাতে পারেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতার ট্যুইট, ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক ব্যক্তিদের মন্তব্য রীতিমত উদ্বেগজনক। বোঝা যাচ্ছে না ওঁরা এ রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছেন কেন। বিষয়টিকে লঘু করার জন্য, নাকি নিজেদের অপদার্থতা, প্রস্তুতিহীনতা ঢাকতে? স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য হয়তো বিএসএফ-এর ঘাড়ে দোষ ঠেলে দেওয়া। কেন বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মশার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারছে না।
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন না হওয়ায় স্বাস্থ্য দফতর কাজ করতে পারছে না এটা বিস্ময়কর। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি কিটের আকাল কি পঞ্চায়েত প্রধানরা টেন্ডার ডেকে মেটাবেন? সম্মানীয় মহানাগরিক আবার অর্থনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন। আর্থ-সামাজিক কারণ বিশ্লেষণ করে সমস্যার সন্ধান পেলেও সমাধানের খোঁজ পেলেন না। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ট্যুইটে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর।