North 24 Parganas: বিনামূল্যের উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ বেলঘরিয়ায়
বেলঘরিয়ায় নন্দননগর এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই পূর্ব মণ্ডলের মহিলা সভাপতি বীণা বিশ্বাস ও তাঁর স্বামী বিশ্বনাথ বিশ্বাস এলাকার কিছু বাড়িতে উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার জন্য সাতশো টাকা করে নেন।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: এবার প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যের উজ্জ্বলা যোজনা গ্যাসের কানেকশন (Ujjawal Gas Yojna) দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) কামারহাটি (Kamarhati) বিধানসভার পূর্ব মণ্ডলের সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওখানকার মহিলা সভাপতি এবং তাঁর স্বামীও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যাচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের বেলঘরিয়ায় (Belgharia) নন্দননগর (Nandannagar) এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই পূর্ব মণ্ডলের মহিলা সভাপতি বীণা বিশ্বাস ও তাঁর স্বামী বিশ্বনাথ বিশ্বাস এলাকার কিছু বাড়িতে উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার জন্য সাতশো টাকা করে নেন। অভিযোগ উঠেছে, এলাকার বেশ কিছু বাড়ি থেকে গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার পরই বেপাত্তা হয়ে যান স্বামী-স্ত্রী। প্রসঙ্গত, কামারহাটি (Kamarhati) বিধানসভার পূর্ব মণ্ডলের মহিলা সভাপতি বীণা বিশ্বাসের স্বামী বিশ্বনাথ বিশ্বাস বুথ সভাপতি।
আরও পড়ুন - Rail Blockade at Kankinara: জুট মিল বন্ধের প্রতিবাদে কাঁকিনাড়া স্টেশনে রেল অবরোধ, ব্যাহত ট্রেন চলাচল
সম্প্রতি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে বীণা বিশ্বাসকে দাবি করতে দেখা যায় যে, উজ্জ্বলা যোজনা গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার জন্য তিনি কোনও টাকাই নেননি। বরং ঝুমা দাস নামে এক বিজেপি (BJP) কর্মী তাঁদের নাম করে এলাকার লোকেদের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন। যদিও ঝুমা দাম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইতিমধ্যেই বেলঘরিয়া থানায় ওই বিজেপি (BJP) নেত্রী ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপির উত্তর শহরতলীর সাধারণ সম্পাদক চণ্ডিচরণ রায় এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে যদি দলের কোনও কর্মী যুক্ত থাকেন, তাহলে দল তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি এমন ঘটনায় বিরোধীদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল (TMC)।
আরও পড়ুন - North 24 Paraganas: সব দলই মতুয়াদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে, সিএএ নিয়ে সুর চড়ালেন শান্তনু ঠাকুর