North 24 Parganas: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে গেট আটকে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের, হোঁচট পরিষেবায়
Baranagar Hospital: NILD-র ৯ জন ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, বরানগর: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বরানগরে বিশেষ সক্ষমদের হাসপাতালে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ অব্যাহত। গেট আটকে বিক্ষোভ। তার জেরে দূর-দূরান্ত থেকে এসে চিকিত্সা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা।
অন্যদিকে, মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে NILD-র ৯ জন ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। মৃত ছাত্র প্রিয়রঞ্জন সিংয়ের সুইসাইড নোট পাঠানো হচ্ছে হ্যান্ড রাইটিং বিশেষজ্ঞের কাছে।
প্রবল ভোগান্তি:
নদিয়ার রানাঘাট থেকে দাদাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন এক ব্যক্তি। চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও হাসপাতালে ঢুকতেই পারেননি তাঁরা। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থেকে অটিস্টিক ছেলেকে নিয়ে এসেছেন এক ব্যক্তি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও হাসপাতালে ঢুকতেই পারেননি তিনি। একই সমস্যা পড়েছেন আরও একাধিক রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়রা। যদিও রোগীদের ভোগান্তির ছবিও টলাতে পারেনি বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের। কোনওভাবেই চিকিৎসা করবেন না বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
আগে যা হয়েছে:
বরানগর বনহুগলিতে প্রতিবন্ধী হাসপাতালে হস্টেল থেকে এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার পর থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাসপাতালে কোনও রকম ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা নেই। সেই কারণে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছিল প্রিয়রঞ্জন সিংহ নামে ওই পড়ুয়াকে। মাঝরাস্তায় মারা যান তিনি। এর পরই হাসপাতালের গেট বন্ধ করে এবং পরিষেবা বন্ধ রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা। এতেই শেষ নয়। তাঁদের অভিযোগ, খবর পেয়েও দেরিতে এসেছে বরানগর থানার পুলিশ। ফলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। ছাত্ররা জানাচ্ছন, প্রিয়রঞ্জনের হস্টেল রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। কিন্তু তাঁকে ঝুলতে দেখেছিলেন সহপাঠীরা। ফলে দরজা ভেঙে ঢুকে প্রিয়রঞ্জনকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের বক্তব্য, তখনও পর্যন্ত ওই ছাত্র বেঁচে ছিলেন। তাঁর জন্য কলেজ প্রশাসনের কাছে সাহায্য় চাওয়া হয়। কিন্তু কারও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে ক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের। কলেজে কোনও অ্যাম্বুল্য়ান্সও ছিল না বলে দাবি করছেন তাঁরা। কারও সাহায্য় না পেয়ে এক পড়ুয়ার বাইকে করেই প্রিয়রঞ্জনকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পৌঁছনোর আগেই সব শেষ বলে জানাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। এই পরিণতির জন্য কলেজের পরিকাঠামোর অভাবকেই কাঠগড়ায় তুলছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: কারচুপি করে নিজের ছেলেকে নিয়োগের চেষ্টা! প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দলেরই একাংশের