North Bengal Earthquake: ফের ভূমিকম্প উত্তরবঙ্গে, একাধিক জেলায় কম্পন অনুভূত, উৎসস্থল ভুটান
North Bengal Earthquake: রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.২। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভুটান, থিম্পু থেকে ৪৮ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে।
জলপাইগুড়ি: ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.২। রাতে আচমকা কম্পন বুঝতে পেরে আতঙ্কে বাডি় থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেল স্থানীয়দের। তবে কয়েক সেকেন্ডই কম্পন স্থায়ী হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা বেজে ১৬ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় বলে জানা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই মোটামুটি কম্পন অনভূত করেছেন বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, এ দিনের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভুটান। থিম্পু থেকে ৪৮ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে, ভূৃগর্ভের ১০ কিলোমিটার নীচে থেকে কম্পন ছড়িয়ে পড়ে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। মেলেনি হতাহতের খবরও।
জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, রাস্তার উপর বাড়ি তাঁদের। বড় গাড়ি গেলে বাড়ি কাঁপছে বলে মনে হয়। এ দিনও প্রথমে তেমনটাই ভেবেন তাঁরা। কিন্তু কম্পন কিছু ক্ষণ স্থায়ী হওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁদের। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তার পরই জানতে পারেন ভূমিকম্প হয়েছে বলে। একে করোনা, তার উপর ভূমিকম্প, প্রকৃতির রোষে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড় বলে জানিয়েছেন তিনি। ়
আরও পড়ুন: WB Corona Cases: রাজ্যে ১৫ হাজার পার করোনার দৈনিক সংক্রমণ, ঊর্ধ্বমুখী মৃতের সংখ্যাও
এর আগে, গত বছর জুলাই মাসে উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প হয়। সে বার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.২। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বালুরঘাট-সহ আশেপাশের জেলায় কম্পন অনুভূত হয়। সে বার কম্পনের উৎসস্থল ছিল মেঘালয়।
তারও আগে, এপ্রিলে, শেষ দফার ভোট চলাকালীন ভূমিকম্প হয় উত্তরবঙ্গে। সে বার কম্পনের উৎসস্থল ছিল অসমের শাণিতপুর। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৪। সে বারও প্রাণহানি ঘটেনি।।
তবে বাংলা, অসম বা মেঘালয়ই নয়, গত বছর একাধিক রাজ্যে ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, আগামী দিনে আরও বাড়বে ভূমিকম্প। এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এবং উষ্ণায়ণকে দায়ী করছেন তাঁরা।