North Bengal Disaster: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬, বন্যার জলে একসঙ্গে ভেসে আসছে মানুষ-গণ্ডার-হরিণের দেহ !
Mamata Banerjee: এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কি তৈরি ছিল না প্রশাসন ?

নাগরাকাটা : বৃষ্টি-ধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার বামনডাঙা থেকে আরও ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ বিধ্বস্ত মিরিকে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। প্রবল বৃষ্টি আর ধসে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে উত্তরবঙ্গ। নিশ্চিহ্ন প্রায় একের পর এক গ্রাম। এখনও নিখোঁজ অনেকে । প্রকৃতির রোষে তছনছ হয়ে গেছে পাহাড়-ডুয়ার্স। উত্তরবঙ্গ-জুড়ে এখন শুধুই হাহাকার। বন্যার জলে একসঙ্গে ভেসে আসছে মানুষ-গণ্ডার-হরিণের দেহ ! এদিকে বিপর্যয়ের জেরে উত্তরবঙ্গে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। পাহাড়ের আনাচে কানাচে স্বজনহারানোর কান্নার রোল ভেসে আসছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কি তৈরি ছিল না প্রশাসন ?
বিপর্যয়ের জেরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার অবস্থা খুবই সঙ্গীন। ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে মিরিকের থারবো জামান সিং গ্রামের রাস্তা। বিভিন্ন গ্রামে বড় বড় পাথর, পলি জমে সম্পূর্ণ রাস্তা বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তার মেরামতি হয় না বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। থারবো জামান সিং গ্রামে দাঁড়িয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "এই রাস্তার সঙ্গে অনেক গ্রাম যুক্ত। এখান থেকে শিলিগুড়িও যাওয়া হয়। রাস্তা বন্ধ থাকায় সবাই এখানে আটকে আছে। অনেক গাড়ি আটকে আছে। এখন রাস্তা খোলেওনি। গ্রামীণ এলাকায় আসেন না মুখ্যমন্ত্রী। উনি শহরে আসেন। ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে হবে টা কী ? যাঁরা মারা গেছেন তাঁরা তো আর ফিরে আসবেন না। আগে জায়গাগুলো ঠিক করে দিলে, কিছুটা নিরাপদে থাকা যেত।"
মেঘ-পাহাড়-নদী আঁকা ঝকঝকে ক্য়ানভাস। আচমকা তায় যেন কে জল ঢেলে দিয়েছে। আর সব রং গুলে গিয়ে মিশেছে মাটিতে। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। যে দিকে দু'চোখ যায় শুধুই ধ্বংসস্তূপ। কংক্রিটের মিরিক বাইপাস আজ যেন মেঠো পথ। পাহাড় থেকে প্রবল স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে বাড়ি-গাড়ি...। ঘটেছে বেঘোরে প্রাণহানি। পাশের ঘরে শুয়ে থাকা মানুষটা কখন যে চিরতরে হারিয়ে গেছে বোঝার অবকাশটুকু মেলেনি। কেউ প্রাণে বেঁচেছেন তবে চলে গেছে মাথা গোঁজার ঠাঁই ! পাহাড়ের কোলে বাড়ি। দু'পা গেলেই দেখা যেত প্রতিবেশীর বাড়ি। সেই রাস্তাটাই আজ উধাও। ধ্বংসস্তূপের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটা বাড়ি। একবার দেখলে মনে হয়, এ যাত্রায় বেঁচে গেছে।






















