North Bengal University : আরও ঘোরাল অচলাবস্থা, সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি
West Bengal News : বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎবিল বকেয়া, জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস পরিষেবা।
সনৎ ঝা, দার্জিলিং : উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (North Bengal University) অচলাবস্থা আরও ঘোরাল। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক। জানা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎবিল বকেয়া, জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস পরিষেবা। অফিসারদের জন্য নির্দিষ্ট গাড়িও ব্যবহারের জন্য দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মীদের পি এফ, আয়কর জমা সহ জরুরি কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ঘোরতর প্রশাসনিক সঙ্কট জারি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (NBU)। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি। উপাচার্য, ফিনান্স অফিসার ও রেজিস্ট্রার না থাকায় আগামীদিনে অচলাবস্থা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।
গত ২৬ জানুয়ারি থেকে কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার ফলে একাধিক কার্যকরী বিভিন্ন কমিটির কোনও বৈঠক ডাকা সম্ভব হচ্ছে না। আর বৈঠক না হওয়ার জেরে আটকে রয়েছে যাবতীয় কাজের বাস্তবায়নও। পাশাপাশি গত ২৮ ফেব্রুয়ার অবসর নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসারও। যার জেরে আর্থিক বিভিন্ন কাজকর্মও গিয়েছে আটকে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বিল মেটানোর টাকা দেওয়ার একটি দিন পেরিয়ে গিয়েছে। আজ যার দ্বিতীয় তথা শেষ দিন। এবারও টাকা না মেটালে সেক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ পরিষেবাই।
অর্থের অভাবের জেলে জ্বালানি কিনতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস পরিষেবা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গাড়ি ব্যবহারেও তৈরি হয়েছে সমস্যা। দিনকয়েক আগেই অর্থের অভাবের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকদের খাবার বন্ধ থাকার নোটিস পড়েছিল। যে নোটিস ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। নোটিস পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের জেরে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় প্রশাসনিক কাজকর্ম। ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেন পড়ুয়ারা। পরে অবশ্য শেষপর্যন্ত যা মিটে খাবার ব্যবস্থা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। তবে তার স্থায়ী সমাধান মেলেনি এখনও। এদিকে, কর্মীদের পিএফ-এর জন্য টাকা বেতন থেকে কেটে নেওয়া হলেও তা এখনও জমা পড়েনি বলেই অভিযোগ। এই অবস্থায় তৈরি হওয়া প্রশাসনিক অচলাবস্থা দ্রুত কাটাতে কার্যত অবরোধ-হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক জটের জেরে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা না কাটলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'বন্ধু' কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিলেন সোমা চক্রবর্তী, বনি সেনগুপ্তও