PhD Controversy : চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা কেন সোশাল মিডিয়ায়? গাইডকে সতর্ক করল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়
Mamata Banerjee : এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি গবেষণার গাইড ও ভূগোলের অধ্যাপক তাপস পাল। চপ শিল্প নিয়ে যে ছাত্রী গবেষণা করেছেন, সেই কণা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও, ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
সুদীপ চক্রবর্তী ও করুণাময় সিংহ, রায়গঞ্জ : চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল আগেই। এবার সংশ্লিষ্ট গবেষণার গাইডকে সতর্ক করলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Raigung University) উপাচার্য। এবিষয়ে, মুখ খুলতে চাননি গবেষণার গাইড। প্রতিক্রিয়া মেলেনি গবেষণার ছাত্রীরও।
শালপাতার ঠোঙায় রাশি রাশি মুড়ি। তার ওপর সাজানো গরম আলুর চপ। ৭ বছর আগে শিল্প নিয়ে যে তত্ত্ব উঠে এসেছিল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, 'আমার পাড়ায় কয়েকটি তেলেভাজার দোকান আছে, যাঁরা তেলেভাজা বিক্রি করে চার-পাঁচ-দশতলা বাড়ি করেছেন। বড় ব্যবসাও করছেন, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।' সেই সেই চপ শিল্পই এখন গবেষণার বিষয়। আর গবেষণাপত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ও বিষয় নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
নড়েচড়ে বসল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়
বিতর্কের মুখে এবার নড়েচড়ে বসল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আনা হল বিষয়টি? সংশ্লিষ্ট গবেষণার গাইড ও ভূগোলের অধ্যাপককে সতর্ক করলেন উপাচার্য। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, 'যে ভাইরাল করেছে সেই বিষয়ে আমরা তাকে সতর্ক করেছি। কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাপস পালের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
মুখে কুলুপ চাপে থাকা গাইডের
এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি গবেষণার গাইড ও ভূগোলের অধ্যাপক তাপস পাল। চপ শিল্প নিয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের স্নাতকোত্তরের যে ছাত্রী গবেষণা করেছেন, সেই কণা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও, ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন- গবেষণায় ‘চপ শিল্প’, বিষয় নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা
রাজনৈতিক তরজা
‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায়’ চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা। আর ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বাম-বিজেপি। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সহ সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেন, “চপ শিল্পীদের গবেষণা হতে পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম থাকবে কেন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সীমাহীন চাটুকারিতা। শিক্ষিত ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে চাকরি পাবে না। তারা চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা করবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করতে হবে।’’ পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এবিষয়ে দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ফিরহাদ হাকিম বলেন, “চপ শিল্প নিয়ে এত কিছু হচ্ছে। সমাজের পিছিয়ে মানুষকে ছোট করতেই বিরোধীদের সমালোচনা।’’ চপ শিল্পে গবেষণা নিয়ে সোশাল মিডিয়াতেও শুরু হয়েছে বিতর্ক।