রাখিবন্ধনের শুভ দিনে বয়সের সেঞ্চুরি ছুঁলেন পানিহাটির ভূপেন্দ্র নাথ মিত্র
অতিমারীর এই হাহাকার, আর্তনাদের মধ্যে রাখিবন্ধনের দিনটা আরও একটু স্পেশাল করে সেলিব্রেট করলেন পানিহাটির বাসিন্দা ভূপেন্দ্র নাথ মিত্র। আজ বয়সের সেঞ্চুরি ছুঁলেন তিনি।
পানিহাটি: বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারীর আতঙ্ক। গত দেড় বছরে গোটা পৃথিবীজুড়ে হাহাকারের ছবি নেহাত কম দেখা যায়নি। রোগের প্রকোপ, কাজের অভাব, অক্সিজেনের ঘাটতি, হাসপাতালের লম্বা লাইন, স্বজনহারাদের হাহাকার - কী না দেখেছে পৃথিবী এই কয়েক দিনে। চারিদিকে কেবল ধ্বংসের ছবি।
তবে অতিমারীর এই হাহাকার, আর্তনাদের মধ্যেও রাখিবন্ধনের শুভ দিনটা আরও একটু স্পেশাল করে সেলিব্রেট করলেন পানিহাটির বাসিন্দা ভূপেন্দ্র নাথ মিত্র। আজ বয়সের সেঞ্চুরি ছুঁলেন তিনি। স্বভাবতই পরিবারে উৎসবের মেজাজ। করোনা অতিমারীকে জয় করে পরিবারের সঙ্গে জমিয়ে শততম জন্মদিন পালন করলেন আজ ।
১৯২২ সালের ২২ অগাস্ট, পানিহাটিতে জন্মগ্রহণ করেন সদ্য একশো বছরে পা দেওয়া ভূপেন্দ্র নাথ মিত্র। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ৮৮ বছরের স্ত্রী, দুই কন্যা, জামাই, নাতি, নাতনিদের নিয়ে পালিত হল তাঁর জন্মদিন।
সাধারণত একজন মানুষ ৬০ বছরেই বার্ধক্যের তকমা গায়ে চড়ান, সেখানে শতবর্ষেও প্রায় ফিট বললেই চলে ভূপেন্দ্র নাথ মিত্র। এই বয়সেও দিব্যি সচল তিনি। বাড়ির মধ্যে হেঁটে চলে বেড়ান, নিয়মিত কাগজ পড়েন, স্নান-খাওয়া সারেন।
বয়সের ভারে খানিক নিষেধাজ্ঞা এসেছে খাদ্যতালিকায়। তবে প্রায় সবরকম খাবারই খান এখনও। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় শরীর ঠিক রাখতে নিয়মিত কোনও ওষুধের ওপর নির্ভর করতে হয় না ভূপেন্দ্র বাবুকে। রোগের মধ্যে কানে খানিক কম শোনেন। তাছাড়া এই শতায়ু পার শরীরে কোনও ক্রনিক রোগও নেই।
এমন সুস্থ সবল শতবর্ষের বঙ্গসন্তান এখন প্রায় বিরল বললেই চলে। রাখীর পবিত্র দিনে পরিবারের 'সর্বকনিষ্ঠ' সদস্যের জন্মদিন তাই ধুমধাম করে পালন করলেন পরিবারের সদস্যরা। সেজেগুজে, গলায় মালা পরে, কেকও কাটেন ভূপেন্দ্র বাবু। স্বামীর জন্মদিনে সকলে মিলে বাড়িতে এসেছেন, বিশেষ দিনটি আনন্দের সঙ্গে পালিত হচ্ছে দেখে খুশি ভূপেন্দ্র নাথ মিত্রের স্ত্রীও। করোনা অতিমারীকে ঠেকিয়ে, এই দিন পর্যন্ত বাবা যে সুস্থ রয়েছেন তাতে আনন্দিত ভূপেন বাবুর মেয়ে।