(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Municipal Election: উদ্বোধনের পর কেটে গিয়েছে এক বছর, 'অন্ধকারে' চন্দননগরের আলো হাব
Chandernagore Municipal Corporation Election: বেশ কয়েক কোটি টাকা খরচ করে চন্দননগরে (Chandannagar) তৈরি হয়েছে এই আলো হাব। তিনতলা ভবনে রয়েছে প্রায় ১০০টি ঘর। যেখানে বসে কাজ করতে পারবেন শিল্পীরা।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দননগর: উদ্বোধনের পর কেটে গিয়েছে এক বছর। কিন্তু এখনও আলো জ্বলেনি আলো হাবে। দোকান হাতে পাননি শিল্পীরা। চন্দননগর পুরভোটের (Chandernagore Municipal Corporation Election) আগে আলো হাব নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। খুব তাড়াতাড়ি দোকান পাবেন শিল্পীরা, আশ্বাস প্রাক্তন পুর প্রশাসকের।
আলোর শহর চন্দননগর। সেই আলোর রোশনাইয়ের খ্যাতি জগতজোড়া। কিন্তু চন্দননগরেই অন্ধকারে রাজ্য সরকারের আলো হাব। বেশ কয়েক কোটি টাকা খরচ করে চন্দননগরে তৈরি হয়েছে এই আলো হাব। তিনতলা ভবনে রয়েছে প্রায় ১০০টি ঘর। যেখানে বসে কাজ করতে পারবেন শিল্পীরা। গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাবের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এক বছর পরেও হাব চালু হয়নি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘর পেতে শিল্পীদের দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা ডিপোজিট মানি ও দোকান ভাড়া বাবদ মাসে আড়াই হাজার টাকা। আলোক শিল্পীদের দাবি, করোনা আবহে বাজার খারাপ, এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। সামনেই চন্দননগর পুরভোট। ভোটের আবহে ইস্যু হয়ে উঠেছে আলো হাব। চন্দননগর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী শোভনলাল সেনগুপ্ত বলেন, “দুর্নীতি হয়েছে। আলোক শিল্পীরা কীভাবে উপকৃত হবে তা না ভেবেই স্বপ্ন দেখানোর জন্য করেছে।’’
বিজেপি যুব মোর্চার হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, “পার্কে গাছ কেটে আলো হাব করে পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। তার উপর অত্যাধিক শিল্পীদের কাছ থেকে টাকা চাওয়ায় এই পরিস্থিতি। সরকার এবিষয়ে চিন্তাভাবনা করুক।’’ দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাক্তন পুর প্রশাসকের দাবি, দ্রুত দোকান ঘর তুলে দেওয়া হবে শিল্পীদের হাতে। প্রাক্তন পুর প্রশাসক তথা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রাম চক্রবর্তী বলেন, “করোনা পরিস্থিতি আর নানা জটিলতায় আটকে আছে এই প্রতিষ্ঠান।’’
আরও পড়ুন: Municipal Election: নজরে মহিলা ভোট, শিলিগুড়ির পুরভোটে বামেদের নির্বাচনী ইস্তেহারে মহিলাদের গুরুত্ব