Panchayat Election: 'গণতন্ত্রের উৎসবে এত মৃত্যু! এই সংস্কৃতির বদল দরকার', ভোট-হিংসা নিয়ে সরব শুভাপ্রসন্ন
Subhaprasanna On Panchayat Election: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ও ভোটের দিন হিংসার বলি হতে হয়েছে অনেককে। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন।
কলকাতা: ভোট-হিংসা নিয়ে এবার সরব শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) আগে ও ভোটের দিন হিংসার বলি হতে হয়েছে অনেককে। এবার শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলছেন, ''ভোটে এমন হিংসা দেশে কোথাও হয় না। গণতন্ত্রের উৎসবে এত মৃত্যু! এই সংস্কৃতির বদল দরকার। এত প্রাণ কেন কেন যাবে! এটা মনীষীদের পীঠস্থান। এই বাংলায় পরিবর্তন দরকার। আবার আমরা মিছিল করব, যেমন আগে নেমেছিলাম।''
উল্লেখ্য, এবারের ভোটের অনেক আগে থেকেই অশান্ত ছিল বাংলা। রক্তস্নাত ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোট। উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিন থেকে গত ৩২ দিনে মোট ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন বাংলায়। শুধু ভোটের দিনই নিহত হন ১৫ জন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রাক ভোট পর্বে কোথায় কে কে হিংসার বলি হয়েছিলেন।
৯ জুন: মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ।
১৫ জুন: মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে ভাঙড়ে খুন তৃণমূল কর্মী রশিদ মোল্লা ও রাজু নস্কর। একই দিনে খুন হন ISF কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লাও।
১৫ জুন: মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল শেখও খুন হন।
১৭ জুন: মালদার সুজাপুরে পিটিয়ে খুন করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাফা শেখকে।
একই দিনে খুনের ঘটনা ঘটে কোচবিহারের দিনহাটায়। খুন হন শম্ভু দাস নামে বছর ২৭-এর এক বিজেপি কর্মী।
১৫ জুন: মনোনয়নের শেষ দিনে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন সিপিএম কর্মী ২১ বছরের মনসুর আলম। ২১ জুন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
২২ জুন: পুরুলিয়ায় রেলশহর আদ্রায় পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের শহর সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে।
২৪ জুন: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী আলিম বিশ্বাসের।
২৭ জুন: কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহে জারিধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী বাবু হকের।
১ জুলাই: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চে খুন হন যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা। তৃণমূল-যুব তৃণমূলের কোন্দলে খুন বলে অভিযোগ।
৩ জুলাই: ভোরে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার শালিপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী পরিতোষ মণ্ডলের।
৪ জুলাই: উ. ২৪ পরগনার দেগঙ্গার গাঙাটি গ্রামে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল সমর্থক ১৭ বছরের ইমরান হোসেনের।
৫ জুলাই: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী কামাল শেখের।
৬ জুলাই: বীরভূমের মহম্মদবাজারে নির্দল প্রার্থীর স্বামী ও বিজেপি নেতা দিলীপ মাহারাকে গুলি করে খুন করা হয়।
একই দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে কংগ্রেস নেতা আলফাজুদ্দিন হালদারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
৭ জুলাই: মুর্শিদাবাদের রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের হেরামপুর পঞ্চায়েতের রায়পুরে কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলকে পিটিয়ে খুন করা হয়।
একই দিনে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তৃণমূল কর্মী বাবর আলি খুন হন।
৭ জুলাই: কোচবিহারের তুফানগঞ্জে খুন হন তৃণমূল কর্মী গণেশ সরকার।