Panchayat Election: ভোটের মুখে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার মালদায়, গ্রেফতার ২
Malda:পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের একজন রতুয়া ও আরেকজন উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের বাসিন্দা।

করুণাময় সিংহ, মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের আবহে জেলায় জেলায় অস্ত্র উদ্ধার। এবার মালদা থেকে উদ্ধার হল অস্ত্র।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে মালদার রতুয়ার জাননগর গ্রামে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। পাকড়াও করে দুই অস্ত্র কারবারিকে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৫ রাউন্ড কার্তুজ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের একজন রতুয়া ও আরেকজন উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের বাসিন্দা। মালদা থেকে এর আগেও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল। এই জেলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে, পঞ্চায়েত ভোটের সময় এলাকায় আর কত বেআইনি অস্ত্র মজুত রয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগে সাধারণ ভোটাররা।
যখন মালদা থেকে অস্ত্র উদ্ধার হল, তখনই পাশের জেলা মুর্শিদাবাদ থেকেও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। পাশের জেলা মুর্শিদাবাদে রানিনগরের নবির মোড় থেকে উদ্ধার হয়েছে বেআইনি অস্ত্র। ওই এলাকায় আচমকা হানা দেয় পুলিশ। পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার হয় একটি দেশি পিস্তল এবং দুই রাউন্ড গুলি। ওই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাহুল শেখ নামে সাগরপাড়ার এক বাসিন্দাকে। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদ। একাধিক প্রাণহানি হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। রবিবার রাতেও প্রচার ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সামশেরগঞ্জে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে বচসা থেকে গুলি চলে। তার জেরে এক কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতিতেই গুলি চলে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। যদিও কংগ্রেসের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
মুর্শিদাবাদের এই সামশেরগঞ্জেই রবিবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি। বিস্ফোরণের অভিঘাতে কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির পাঁচিলের একাংশ ভেঙে পড়ে। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে টহল দিচ্ছিল পুলিশ। সেই সময় মহাল গ্রামে এক ব্যক্তির কাছে উদ্ধার হয় একটি দেশি পিস্তল এবং ২ রাউন্ড কার্তুজ। ওই ঘটনায় আশরফ শেখ নামে এখ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে এত বোমা-বন্দুক উদ্ধারের ঘটনা, প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়াচ্ছে।
এমনিতেই বারবার হিংসার ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে জেলায় জেলায় বেআইনি অস্ত্রের মজুত থেকে গেলে, ভোট এবং ভোট পরবর্তী সময়ে হিংসার ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা সাধারণ বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: এক বছরে অর্ডার ৭.৬ কোটি প্লেট বিরিয়ানি! টেক্কা বাকি সবাইকে






















