Councilor Death Upadate: চোখের জলে স্মরণ, দুই কাউন্সিলরের মৃত্যুতে রঙহীন পানিহাটি, ঝালদা
নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের প্রতিবেশী কার্তিক পালের কথায়, গতকাল রাতে স্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন উৎসব পালন করব না। আমরা মনে করি না ও নেই।
সমীরণ পাল, সন্দীপ সমাদ্দার ও হংসরাজ সিংহ: দোলের দিনেও রং-হীন পানিহাটির (Panihati) মহাজাতিনগর, পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার (Jhalda) আনন্দ বাজার। দুই কাউন্সিলর খুনের প্রতিবাদে ও শোকের আবহে দোল উৎসব পালন করলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। ঝালদায় আজ মৌন মিছিল করবেন মহিলারা।
রক্তের রংয়ে ফিকে রঙিন আনন্দ। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) পানিহাটির মহাজাতিনগর। বসন্তের সব রং ফিকে করে দিয়েছে দুষ্কৃতীদের বেয়াড়া বুলেট।
বুলেটে ফিকে বসন্তের রং। পানিহাটির (Panihati) মহাজাতিনগরে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করতেন যে মানুষটি, সেই অনুপম দত্তকে ঠিক ৫ দিন আগে তাঁর পাড়াতেই খুন করে দুষ্কৃতীরা।
দোলের সকালে মহাজাতিনগরের বাসিন্দারা পাড়ার ছেলে অনুপমকে স্মরণ করলেন চোখের জলে। নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের প্রতিবেশী কার্তিক পালের কথায়, গতকাল রাতে স্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন উৎসব পালন করব না। আমরা মনে করি না ও নেই। সবার মনে থাকবে।
এই তো সেদিন, পাড়ায় পলাশের গাছ লাগিয়েছিলেন অনুপম। ঘরের ছেলেকে হারিয়ে সে পলাশ এখন বিবর্ণ-রংহীন!
আরেক প্রতিবেশী রামচন্দ্র পাল বলেছেন, আড়াই মাস আগে একজন পলাশ গাছ দিয়ে যায়। গাছ লাগিয়ে বলেছিল এর ফুল দিয়ে দোল উৎসব করব। পলাশ গাছে বেড়ে উঠছে কিন্তু আমাদের থেকে হারিয়ে গেছে অনুপম।
গত রবিবার পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত হত্যাকাণ্ডের আড়াই ঘণ্টা আগেই খুন হন ঝালদার জনপ্রিয় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু।তাঁর শোকে রঙিন হওয়ার দিনে ঝালদার আনন্দ বাজারে আনন্দের লেশমাত্র নেই।
নিহত কংগ্রেসের কাউন্সিলরের ভাইপো মিঠুন কান্দুর কথায়, 'আমরা তো হোলি উৎসব পালন করতে পারব না, কারণ যে লোকটা রং কিনে দিত সেই চলে গেল। আর যারা রক্তের হোলি খেলল, তারা আগেই খেলে ফেলেছে হোলি। শনিবার হোলির দিন সকালে কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঝালদায় মৌন মিছিল করবেন এলাকার মহিলারা।'
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শান্তিরাম মাহাতো বলেন, এটা একটি মর্মান্তিক ঘটনা, সবাই নিশ্চয়ই দুঃখপ্রকাশ করেছেন, আমরাও দুঃখিত, এই ঘটনা না হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়, আমরাও শোকাহত, আমাদের নেত্রী বলেছেন, তদন্ত সঠিকভাবে চলবে, দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিনই কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ভাইপো মিঠুনের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় পুলিশ। ওই ফোনেই আইসির সঙ্গে কথোপকথনের কল রেকর্ড আছে বলে নিহত কাউন্সিলরের ভাইপো দাবি করেছেন।