Panihati News: পানিহাটির পুরপ্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ, মমতার সিদ্ধান্ত জানালেন ফিরহাদ, মাঠ দখল করে প্রোমোটিংয়ের অভিযোগ ছিল
Mamata Banerjee: অমরাবতী মাঠ দখল করে প্রোমোটিংয়ের অভিযোগ ঘিরেই বিতর্কের সূচনা। তার জেরে মলয়কে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে বলে খবর।

সমীরণ পাল, কলকাতা: পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়কে পদত্যাগ করার নির্দেশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন বলে ফোন করে জানালেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু কেন তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না মলয়। তাঁর দাবি, চক্রান্তের শিকার হয়েছেন তিনি। অমরাবতী মাঠ দখল করে প্রোমোটিংয়ের অভিযোগ ঘিরেই বিতর্কের সূচনা। তার জেরে মলয়কে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে বলে খবর। (Panihati News)
বেশ কিছু দিন ধরেই বিতর্ক পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকে ঘিরে। নাগরিক পরিষেবা থেকে প্রোমোটিংয়ের জন্য মাঠ বিক্রিতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন স্থানীয়দের একাংশ। তাঁদের দাবি ছিল, ৮৭ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত অমরাবতী মাঠ দখল করে প্রোমোটিং হচ্ছে কাউকে না জানিয়েই। জলাভূমি ভরাট হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। গত সপ্তাহে সেই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। মাঠ দখলের কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি জানান, জমিটি সরকারের তরফে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে প্রোমোটিং কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই জমি দখল করা যাবে না। (Mamata Banerjee)
বিষয়টি মমতার কানেও ওঠে। এর পরই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নোটিস পাঠানো হয়। জানানো হয়, রাজ্য সরকার জমিটিকে অধিগ্রহণ করবে। সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বলে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নোটিস দেন মহকুমা শাসক। এর পর শনিবার পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয়কে ফোন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ। দ্রুত তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। কিন্তু মাঝে শনি, রবি, সোম কেটে গেলেও পদত্যাগ করেননি মলয়। সোমবারও পুরসভায় কাজ করেন তিনি। তাতেই মঙ্গলবার ফের মলয়কে ফোন করেন ফিরহাদ। জানান, মুখ্যমন্ত্রী চান মলয় পদত্যাগ করুন।
এখনও পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি মলয়। তাঁর মতে, কেন পদত্যাগ করতে হবে, তা জানা প্রয়োজন। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর। দলের সঙ্গে রয়েছেন এযাবৎ। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। অন্যায় ভাবে সরানো হচ্ছে তাঁকে। এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে না পারলেও, মলয় জানান, মুখ্যমন্ত্রী যখন চেয়েছেন, তাঁর ইচ্ছেকে সম্মান জানাবেন তিনি। এবিপি আনন্দে তিনি বলেন, "ফোন করে বললেন, দিদির ইচ্ছে পদত্যাগ করুন। আমি বললাম, পদত্যাগে অসুবিধা নেই। কাউকে অসম্মান করার মানসিকতা নেই। কী অপরাধে অপরাধী, জানতে চাই আমি। এখনও জানতে পারিনি, চেষ্টা করছি। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। আবারও পাঠাব। কোন অপরাধে পদ ছাড়তে বলা হচ্ছে, তা জানানো হোক।"
এই অমরাবতী খেলার মাঠ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বিতর্ক। ৮৭ একরের ওই জায়গা বেআইনি ভাবে দখল করা হচ্ছে, জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধীরাও। বিষয়টি নিয়ে সরব হন স্থানীয়রাও। গোটা ঘটনায় পুরপ্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বহু বেআইনি দোকান তৈরি হলেও, পুরসভা নিশ্চুপ কেন, ওঠে প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, পানিহাটি পুরসভার ১২৫ বছর পূর্তিতে বেআইনি ভাবে টাকা তোলা নিয়েও জমা পড়ে অভিযোগ। এর পরই সরকার নড়েচড়ে বসে।






















