Partha Chatterjee : দল পাশে না থাকলেও, ‘দলের সঙ্গে আছি, দলের সঙ্গেই ছিলাম’ বার্তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
TMC : বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'এটা তো ঠিকই উনি বলবেন দলের সঙ্গে আছি। কারণ কেউ তো নেই ওঁর সঙ্গে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে দল কি ওঁর সঙ্গে রয়েছে। ওঁর নেত্রী কি সঙ্গে রয়েছেন?'
পার্থপ্রতিম ঘোষ ও সঞ্চয়ন মিত্র : ‘দলের সঙ্গে আছি, দলের সঙ্গেই ছিলাম’, দল পাশে না থাকলেও, দলের সঙ্গেই থাকার বার্তা পার্থর। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় এমনটাই জানান শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অসুস্থ বোধ করায় প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তাঁকে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। যেখানে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,' শরীর ভাল নেই, ভাল থাকার চেষ্টা করছি।'
প্রেসিডেন্সি জেল ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরের সূত্রে জানা যায়, শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়েছে তাঁর। কমেছে হিমোগ্লোবিন। পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছেন। এসএসকেএমে এক্স-রে করার পর তাঁকে ফের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এসএসকেএম থেকে বেরোনোর পথে কার্যত চিৎকার করেই দলের সঙ্গে থাকার বার্তা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি-র হাতে তিনি আটক হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'একটা ইনস্টিটিউট চালাতে গিয়ে কখনও কখনও কারও না কারও ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। ভুল করাটাও একটা রাইট টু মেক ব্লান্ডার। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস লিখেছিলেন। ভুল কি কারও হয় না? যদি কেউ ভুল করে, তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে। যদি কেউ ভুল করে, তার বিরুদ্ধে পানিশমেন্ট হবে। যদি কেউ ভুল করে, যদি আইনত প্রমাণিত হয়, নিশ্চয় তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে।'
পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে যাবতীয় মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয় দলের মহাসচিব পদে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের তরফে তাঁর পাশে না থাকার বার্তাই একাধিকবার মিলেছে। যদিও দলের পাশে থাকার পার্থ বার্তার পরে রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'এটা তো ঠিকই উনি বলবেন দলের সঙ্গে আছি। কারণ কেউ তো নেই ওঁর সঙ্গে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে দল কি ওঁর সঙ্গে রয়েছে। ওঁর নেত্রী কি সঙ্গে রয়েছেন? কেউ তো ওঁর পাশে দাঁড়াচ্ছে না। অনুব্রত মণ্ডলের জন্য স্লোগান উঠছে, কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তো কেউ নেই।' কিছুদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেছিলেন ‘সব চোরেদের দিদিমণি মুখ্যমন্ত্রী। খেলা শুরু করা উচিত পার্থবাবুর। সবার নাম প্রকাশ করুন। নাম বলুন, ঢোকানোর ব্যবস্থা আমরা করে দেব’।
আরও পড়ুন- 'ভাল নেই', এসএসকেএম-এ এক্স রে-র পর সংবাদমাধ্যমকে বললেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়