Paschim Bardhaman: পরপর বাড়িতে ফাটল! আতঙ্কে কাঁটা বাসিন্দাদের নিশানায় ইসিএল
ECL: বাড়িতে বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় প্রবল দুশ্চিন্তায় বাসিন্দারা। আরও বড় বিপদের আশঙ্কায় কাঁটা তাঁরা।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ফের ফাটল আতঙ্ক। একের পর এক বাড়িতে ফাটল। ঘটনাস্থল পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে কয়লা খনি সংলগ্ন শীর্ষা গ্রাম। বিপদের আশঙ্কায় কাঁটা গ্রামবাসীরা। ক্ষতিপূরণের দাবি এবং পুনর্বাসনের দাবিতে ইসিএল আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ ক্ষতিগ্রস্তদের। ফাটলের ঘটনাতেও রাজনৈতিক তরজার ছবি। একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে বিজেপি।
আর কদিন পরেই দীপাবলি, কালীপুজো। রাজ্যে আলোর উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের শীর্ষা গ্রামে ঘরে ঘরে যেন নেমেছে আঁধার। বাড়িতে বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় প্রবল দুশ্চিন্তায় বাসিন্দারা। আরও বড় বিপদের আশঙ্কায় কাঁটা তাঁরা। এই ঘটনায় যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে ইসিএল-এর উপর। ইসিএল (ECL) আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দারা।
কেন ফাটল? কী অভিযোগ?
স্থানীয় সূত্রে দাবি, পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে কয়লা তোলার জন্য মাঝেমধ্যেই খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অভিযোগ, তার জেরেই খনি সংলগ্ন শীর্ষা গ্রামে একের পর এক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। অথচ, এই বিষয়ে আমলই দিচ্ছে না ইসিএল কর্তৃপক্ষ। শীর্ষা গ্রামের এক বাসিন্দা রূপা বাগদি বলেন, 'জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছি। বাড়িতে ফাটল। দুশ্চিন্তায় ভুগছি।'
কবে মিলবে ক্ষতিপূরণ?
পাণ্ডবেশ্বরের শীর্ষার বাসিন্দা সমর বাদ্যকরের দাবি, 'যতদিন যাচ্ছে বাড়ির গায়ে ফাটল বাড়ছে। কোনও ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে না।'
সম্প্রতি স্থানীয় একটি মাঠে ইসিএলের ইন্টার এরিয়া স্পোর্টস ইভেন্ট চলাকালীন আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। শেষ পর্যন্ত লাউদোহা থানার পুলিশ ও ইসিএল-এর নিরাপত্তারক্ষীরা এসে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
ইসিএলের ঝাঁঝড়া অঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার অজর কুমার শর্মা বলেন, 'এই বিষয়ে এখনই কিছু বলব না।' অন্যদিকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের দাবি করেছেন পাণ্ডবেশ্বরে কয়লা খনি সংলগ্ন শীর্ষা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।
আগেও উঠেছে অভিযোগ:
পশ্চিম বর্ধমানেরই অন্ডালে ইসিএলের খোলা মুখ খনি এলাকায় ধসের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গত আগস্টেই। সেবারও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইসিএলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বারবার জানালেও কর্ণপাত করেনি কর্তৃপক্ষ। গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ।