Suvendu Adhikari: 'পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?' চাকরিপ্রার্থীদের উপর বলপ্রয়োগের ঘটনায় শুভেন্দুর টুইট-তোপ
TET Agitation: টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের জোর খাটিয়ে তুলে দেওয়ার ঘটনার কড়া নিন্দা করে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা: মাঝরাতে অ্যাকশন। ৮৪ ঘণ্টা ধরে চলা অবস্থান-বিক্ষোভকে মাত্র কিছু সময়ের মধ্যে তুলে দিল পুলিশ। করুণাময়ীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের জোর খাটিয়ে তুলে দেওয়ার ঘটনার কড়া নিন্দা করে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর টুইট তোপ:
শুভেন্দু অধিকারী টুইটে লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থানকে নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে তুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?'
কীভাবে তোলা হল অভিযান:
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশি অভিযান। করুণাময়ীতে কার্যত তুলকালাম। ৮৪ ঘণ্টার মাথায় বলপ্রয়োগ করে তুলে দেওয়া হল আন্দোলন। চ্যাংদোলা করে টেনে হিঁচড়ে করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের তুলে দিল পুলিশ। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অভিযোগ, তাঁদের ৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভোররাতে আটক চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ বাসে করে এনে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দেয়। তবে এই ঘটনার পরেও পিছু হটতে নারাজ তাঁরা। আজ ভোরেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের একাংশ শিয়ালদা স্টেশন চত্বর থেকে ফিরে যান ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে তাঁদের অবস্থান মঞ্চে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ:
পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। সেইসঙ্গে আন্দোলনকারী মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের প্রশ্ন, পুলিশ কীভাবে মহিলা আন্দোলনকারীদের ভোররাতে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দিল? তাঁদের নিরাপত্তা দেখবে কে?
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এই সরকার কাজও করবে না, তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করতে দেবে না। আমরা যখন রাস্তায় নামি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ চলে আসে, সরিয়ে দিচ্ছে, লাঠিপেটা করছে। যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন, চাকরির জন্য আবেদন-নিবেদন করেছেন, তাঁরা অনশন করছেন। তিন দিন ধরে না খেয়ে ছিলেন। রাতের বেলায় পুলিশ তাঁদের নির্মমভাবে ওখান থেকে ধাক্কা মেরে তুলে দিয়েছে। এই সরকার নিজে গণতন্ত্রের কথা বলে। আর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পরিবেশই নেই, যে নিজের বক্তব্য নিয়ে কথা বলতে পারে, আন্দোলন করতে পারে।'
পাল্টা কটাক্ষ শান্তনু সেনের:
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'গণতন্ত্রের একটি অন্যতম স্তম্ভ, জুডিশিয়ারি। এই জুডিশিয়ারি নির্দেশ মানা কি অন্যায়? নাকি আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়াটা অন্যায়? যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের প্রতি পূর্ণ সংবেদনশীলতার সঙ্গেই বলছি, আইন তো কখনও হাতে নিয়ে নেওয়া যায় না। আমরা তো বারংবার দেখেছি পুলিশ কীভাবে অনুরোধ করেছেন তাঁদেরকে, যে এখানে ১৪৪ জোন করা আছে। এখানে অনুগ্রহ করে আপনারা বসবেন না। আসলে সমস্যাটা তো অন্য জায়গায়। মুখ্যমন্ত্রী যখন সমাধান করার চেষ্টা করছেন, তখন বিরোধীরা তাঁদের মাংসওয়ালা, ঘুগনিওয়ালা ক্যাডারদের চাকরি প্রার্থী হিসেবে পাঠিয়ে দিচ্ছে।'