Paschim Bardhaman: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে নিত্যদিনের হয়রানি, গ্রাহকদের ক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি
কাঁকসার বসুধা এলাকায় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্রাঞ্চের পরিষেবা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার এলাকাবাসী।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ব্যাঙ্কে নিত্যদিনের হয়রানিতে এবার গর্জে উঠলেন গ্রাহকরা। কাঁকসার বসুধা এলাকায় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্রাঞ্চের পরিষেবা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার এলাকাবাসী।
ঠিক কী অভিযোগ?
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটিতে নিত্যদিনের গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় গ্রাহকদের, এমনটাই দাবি। তাঁদের তরফে জানান হয় যে ব্যাঙ্কে নেই পর্যাপ্ত স্টাফ। ফলে কাজকর্ম চলে অত্যন্ত ধীর গতিতে। ব্যাঙ্কের মতো পরিষেবা ধীরে চলার ফলে প্রচন্ড অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় গ্রাহকদের।
জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে দু'জন স্টাফ ব্যাঙ্কে আসেন। যার জেরে কোনও কাজকর্ম না হওয়ায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় গ্রাহকদের। গ্রাহকদের অভিযোগ নিত্যদিন একই সমস্যা লেগেই থাকে। বিশেষ করে শুক্রবার ব্যাঙ্কের কোনও কাজকর্মও হয়নি।
এ বিষয়ে ব্যাঙ্কের কর্মী পাঁচু গোপাল রুই দাস জানান ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের জরুরী কাজ থাকার জন্য তিনি আসতে পারেননি। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবেন। কিন্তু বেলা সাড়ে ১২টা বেজে গেলেও তখনও ব্যাঙ্কের কোন কাজকর্ম হয়নি। এই ঘটনার পরই গ্রাহকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকেই কোন কাজকর্ম না হওয়ায় প্রচন্ড গরমের মধ্যে বসে থাকতে হয় গ্রাহকদের এমনটাই জানান।
এদিকে, ব্যাঙ্কে হয়রানির পাশাপাশি প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন পাণ্ডবেশ্বরের এক বাসিন্দা। পাণ্ডবেশ্বরের রামনগরের বাসিন্দা সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় জানান ত্রিশ হাজার টাকা জমা দিলেও সন্ধে সাতটা নাগাদ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পার্থ সারথি গোস্বামী তাঁকে ফোন করে জানান তিনি যে ৪ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছিলেন তার মধ্যে ত্রিশ হাজার টাকা কম আছে।
তিনি এমনও জানান এই ম্যানেজারের থেকে এই ব্যাঙ্কের আরও অনেক গ্রাহক নানানভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন । যদিও এই ব্যাপারে ব্যাঙ্কের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।