Paschim Burdwan : বেতনের টাকা লুঠে পালানোর সময় নোট ছুড়ে পুলিশকে আটকানোর চেষ্টা ! গ্রেফতার ৩
Paschim Burdwan : কর্মচারীদের বেতন বাবদ ৪ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা নিয়ে বাইকে চড়ে জামুড়িয়া যাচ্ছিলেন ঠিকাদার সংস্থার এক কর্মী
অন্ডাল : ঠিকাদার সংস্থার কর্মচারীদের বেতনের টাকা লুঠ (Loot) করে পালানোর সময় পুলিশের তাড়া। পুলিশকে আটকাতে ফিল্মি কায়দায় গাড়ি থেকে নোট ছুড়ে পালানোর চেষ্টা ডাকাতদের। দুর্গাপুরের অন্ডালে (Andal) গতকাল এই ঘটনা ঘটেছে। ২ ডাকাত-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃতীয় ব্যক্তি ঠিকাদার সংস্থার কর্মী। তার মাধ্যমেই ডাকাতরা টাকা নিয়ে যাওয়ার খবর পায় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। খোয়া যাওয়া টাকাও উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কর্মচারীদের বেতন বাবদ ৪ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা নিয়ে বাইকে চড়ে জামুড়িয়া যাচ্ছিলেন ঠিকাদার সংস্থার এক কর্মী। অভিযোগ, অন্ডাল ব্রিজের কাছে গাড়ি থেকে নেমে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বাইক আটকায় চার ডাকাত। পালানোর সময়, নাকা চেকিং ভাঙায় ডাকাতদলের গাড়িকে ধাওয়া করে অন্ডাল থানার পুলিশ। সেইসময় গাড়ি থেকে নোট উড়িয়ে পুলিশকে আটকানোর চেষ্টা করে ডাকাতরা। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। গাড়ি-সহ ২ ডাকাতকে ধরে ফেলে পুলিশ। বাকি দুই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন ; বর্ধমানে দিনেদুপুরে ব্যাঙ্ক ডাকাতি, কর্মীদের মারধর করে টাকা নিয়ে চম্পট
দিনকয়েক আগে বর্ধমান শহরে দিনে দুপুরে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। এমন ডাকাতির ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেনি।
ঠিক কী ঘটে ?
গ্রাহকদের অভিযোগ, সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কার্জন গেট শাখায় হানা দেয় ডাকাতরা। মাস্কে মুখ ঢেকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে ৫-৬ জন দুষ্কৃতী ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে পড়ে। কর্মীদের মারধর করে ব্যাগে টাকা ভরে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে অপারেশন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
তবে শুধু 'অফলাইন' ডাকাতি নয়। ডাকাতি হচ্ছে অনলাইনেও। প্রতারিত হচ্ছেন একাধিক গ্রাহক। সম্প্রতি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ওটিপি শেয়ার করে ৫১ হাজার টাকা খোয়ানোর অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার বাসিন্দা অভিযোগকারীর দাবি, ক্রেডিট কার্ড সংস্থার তরফে ফোন করে জানানো হয়, ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টে জমা পয়েন্টের ভিত্তিতে তিনি প্রায় ১০ হাজার ১০০ টাকা পাবেন। অভিযোগ, তাতে সাড়া দিতেই কৌশলে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ওটিপি জেনে নেওয়া হয়। এরপর পাঁচ দফায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৫১ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।