Durgapur Incident: 'সোনার বাংলা সোনারই থাকুক, আমরা ওড়িশা চলে যাব', আক্ষেপ নির্যাতিতার বাবার; বললেন, 'আর আসব না'
Mamata Banerjee: একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ন্যায়বিচারের আবেদনও জানালেন।

দুর্গাপুর : 'এখানে সরকারি সুরক্ষা নেই।' মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে চলে যেতে চান। আগেই বলেছিলেন দুর্গাপুরে নির্যাতিতার বাবা। একইসঙ্গে যোগ করেছিলেন, 'এখানে তো ঔরঙ্গজেব শাসন চলছে। আমার ওড়িশা খুব ভাল। এখন অনুভব করতে পারলাম, পার্থক্যটা কী। পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশার মধ্যে পার্থক্য কী।' একইভাবে মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে চলে যাওয়ার কথা এদিনও জানালেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, 'সোনার বাংলা সোনার থাকুক, আমরা ওড়িশা চলে যাব।' একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ন্যায়বিচারের আবেদনও জানালেন।
এদিন নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমি চাই, দোষীদের উপযুক্ত দণ্ড মিলুক। আমি বাংলা ছেড়ে চলে যাব। আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ যা নষ্ট হওয়ার হয়ে গেছে, আপনাকে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে নিবেদন করছি, দোষীদের উচিত দণ্ড দিন। আর কিছু নেই। সোনার বাংলা সোনার থাকুক, আমরা ওড়িশা চলে যাব। আমার বহু আশা-ভরসা করে আমার মেয়েকে ডাক্তার করার জন্য স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম। তার তো যা হয়েছে, হয়েছে। আর কিছু বলার নেই। আমরা খুব দুঃখে আছি, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভভ বাংলা ছেড়ে চলে যাব। আমরা আর আসব না। আমি চাইছি না, আমার মেয়ের মতো বাংলায় আর কোনও মেয়ে ওইভাবে...আমার মেয়ের মতো শিকার হয়। এটাই আমার বক্তব্য। আমি চলে যাব।"
তিনি আরও বলেন, "আমি তো কাল থেকে বলেছি, আজও বলছি...সিবিআই তদন্ত হলে একটু ভাল হবে। কিন্তু, সেটা বাংলার সরকারের উপর নির্ভর করে। মমতাদিদি আমার মায়ের মতো, ওঁকে কোটি কোটি প্রণাম। যদি আপনার বিরুদ্ধে কোনও ভুল কথা বলে থাকি...আপনার ছেলের মতো, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমার মেয়েকে ন্যায় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। গোটা ভারতের মেয়ে ওরা।"
দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে গতকালই নির্যাতিতার সহপাঠীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত আইকিউ সিটি মেডিক্যালের ছাত্রের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে বয়ানে অসঙ্গতি মেলার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর পুলিশ সূত্রে। প্রসঙ্গত, পুলিশের বিরুদ্ধে এর আগে অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। বলেছিলেন, CBI তদন্ত করলে আরেকটু ভাল হত। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, পরিবার কোন তদন্ত দাবি করছে, সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তদন্ত প্রক্রিয়া যতটা এগিয়েছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্যাতিতার সহপাঠীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।






















