Paschim Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও জমি দখলের অভিযোগ, সুরাহা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ কৃষক
Paschim Medinipur Update: এবার ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। বিতর্কিত জমিটির ওপর আপাতত ১৪৪ ধারা জারি করেছে আদালত।
![Paschim Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও জমি দখলের অভিযোগ, সুরাহা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ কৃষক paschim medinipur, allegation of land grabbing against tmc lead in keshpur Paschim Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও জমি দখলের অভিযোগ, সুরাহা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ কৃষক](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/06/20/f40013c5b56826dc9e033e894e672f9b_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের জমি দখলের অভিযোগ। আবার কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা। এবার ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। বিতর্কিত জমিটির ওপর আপাতত ১৪৪ ধারা জারি করেছে আদালত।
কত বড় জমি:
বিতর্কিত জমির মোট আয়তন প্রায় সাড়ে ৪ বিঘা। ওই জমিতে চাষ করেই জীবিকানির্বাহ করেন চাষি। সেই জমি-ই দখল করে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে জমি দখল নিয়ে এমনই অভিযোগ এক কৃষকের।
কী অভিযোগ:
কেশপুরের শোলডিহা গ্রামের বাসিন্দা পিকলু রায় নামে এক কৃষকের অভিযোগ, তাঁর প্রায় সাড়ে ৪ বিঘা জমি, জোর করে দখল করে নেন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতারা এই জমি বিক্রির চেষ্টা করেন। এই ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। চাষির দাবি, ভবানীভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, সব জায়গায় চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের। পিকলু রায় জানান, থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ভবানীভবনের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। যদিও, অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।
বিষয়টি জানেন না বলে দাবি এলাকার তৃণমূল নেতার। শোলডিহার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নারায়ণ মন্ডল বলেন, 'তিনি এই বিষয় সম্বন্ধে জানেন না। তবে গ্রামের মানুষের কাছ থেকে শুনেছেন পিকলু রায় দের জমি জায়গা নিয়ে পারিবারিক সমস্যা রয়েছে।'
গোটা ঘটনায় আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সমিতকুমার দাস বলেন, 'শুধু কেশপুর না, কিছু কিছু এলাকায় দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করেছে তৃণমূল। সেখানে পুলিশের সাহস নেই কিছু করার। সাধারণ মানুষকে অসহায়ভাবেই দুষ্কৃতীদের তোলা দিতে হচ্ছে।'
পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি বলেন, 'এটা হাস্যকর অভিযোগ, বর্গা জমি রেজিস্ট্রি হয় না। তাই জোর করে বিক্রি করার প্রশ্নই আসে না।'
আনন্দপুর থানার ওসি জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগের কথা তাঁর মনে নেই। অভিযোগ দায়ের হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। বিতর্কিত জমিটির ওপর আপাতত ১৪৪ ধারা জারি করেছে মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা আদালত।
আরও পড়ুন: চিতাবাঘের ভয়ে সিঁটিয়ে গ্রাম, নিষ্ক্রিয় বনদফতর, অভিযোগ বাসিন্দাদের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)