![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Paschim Medinipur: ফোন কলে ভুয়ো ঋণ! EMI দেখে মাথায় হাত
Bank Fraud:ব্যাঙ্ক থেকে লোন না নেওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৬ লক্ষ টাকা লোন করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
![Paschim Medinipur: ফোন কলে ভুয়ো ঋণ! EMI দেখে মাথায় হাত paschim medinipur belda online bank fraud loan was taken against salary account Paschim Medinipur: ফোন কলে ভুয়ো ঋণ! EMI দেখে মাথায় হাত](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/02/07/0fb217f2e3f7e90a06b86df5cbb4cf1e1707293274840385_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের ব্য়াঙ্ক প্রতারণা (Online Bank Fraud)। এবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট নয়। ভুয়ো ঋণের অভিযোগ। ব্যাঙ্ক থেকে লোন না নেওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৬ লক্ষ টাকা লোন করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কীভাবে টের পাওয়া গেল?
এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) বেলদা হাসপাতালের এক কর্মী। ২ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যক্তি গুগল-পে -এর মাধ্য়মে এক ব্যক্তিকে ২০০০ টাকা পাঠান। কিন্তু সেই ব্যক্তি টাকা পাননি বলে জানান তাঁকে। ওই হাসপাতাল কর্মীর অ্য়াকাউন্ট ছিল এসবিআই-তে। তাই তিনি এসবিআই শাখায় যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে নাকি তাঁকে বলা হয় কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। সেই মতো একটি নম্বরে ফোন করেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী তরুন কুমার ঘোড়াই। সেখান থেকে নাকি তাঁকে বলা হয় মোবাইল থেকে ইউনো অ্যাপের (YONO) মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর কথা। ওই নম্বর থেকে আরও একটি নম্বরে কল ট্রান্সফার করা হয়। তরুণের অভিযোগ, সেখান থেকে জানানো হয় গুগল পে-এর কাস্টমার কেয়ারে ফোন করা হয়েছে। ওটিপি বা প্যান নম্বর কিছুই বলতে হবে না।
তরুনের দাবি, ওই নম্বর থেকে বলা হয়, বেশ কিছুক্ষণ মোবাইলে অনলাইনে যোগাযোগ চালু রাখতে হবে। তরুনের দাবি, ওই ফোন নম্বর থেকে বলা হয় যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা নিষ্পত্তি করা হবে দ্রুত। কিন্তু তার জন্য় ফোনে থাকতে হবে। যদি ফোন কেটে দেওয়া হয়, তাহলে যাঁকে টাকা পাঠানোর কথা ছিল তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই কথা শুনে ওই নম্বরের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাখানেক কথোপকথন চালু রাখেন তরুন কুমার ঘোড়ুই। সেই সময় তাঁর ফোনে পরপর বেশ কয়েকটি এসএমএস আসে, কিন্তু সেগুলি পরে আর পড়েননি তিনি। এরপরের দিন SBI-এর শাখায় গিয়ে জানতে পারেন তাঁর নামে ওই দিনই সন্ধে ছটা নাগাদ ৫ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকার পরে নিমেষের মধ্যে অন্য চারটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে। এর ফলে তাঁর পকেট থেকে এখন টাকা না গেলেও তাঁর নামে ইএমআই চালু হয়েছে। তরুনের দাবি, তিনি কখনও ঋণের জন্য কোনও আবেদনই করেননি। তিনি বলেন, 'কাস্টমার কেয়ারে ফোন করার পর সেখান থেকে আরেকজনকে ফোন ট্রান্সফার করা হয়। তারপর আমাকে ফোনটি চালু রাখতে বলা হয় এবং তারই মাঝে আমার নামে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার টাকা লোন করে নেওয়া হয়। ব্যাঙ্ক থেকে বলা হয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে সেই মতো আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। প্রতি মাসে ১১০০০ টাকা সেলোন পরিশোধ করার জন্য কাটা হলে, সংসার চালাব কী ভাবে?' ওই ব্যক্তি বেলদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মেদিনীপুর সাইবার ক্রাইম (Medinipur Cyber Crime) অফিসে অভিযোগ জানিয়েছেন।
SBI বেলদা শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অমিত কুমার গুরুং বলেন, 'আমার কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছি ওই ব্যক্তিকে। শাখা থেকে কোনও কিছু হয়নি। নেটব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে এই প্রতারণা হয়েছে। এই অভিযোগের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি।'
আরও পড়ুন: মানবপাচার চক্রের মাধ্যমে বাংলায় রোহিঙ্গারা! NIA চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)