Kharagpur IIT News: খড়গপুরে IIT পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু, হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ ! মৃত্যুর কারণ কী ?
IIT Campus News: হস্টেলে নিজের ঘরে ছিলেন ওই ছাত্র। সহপাঠীরা ডাকাডাকি করলেও সাড়া না মেলায় খবর যায় নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে।

বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর : খড়গপুরে IIT পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। গতকাল রাতে আইআইটির জগদীশচন্দ্র বোস হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম অনিকেত ওয়ালকর। ২২ বছরের তরুণ মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়া জেলার বাসিন্দা। ড়গপুর IIT-র সমুদ্রবিদ্যা ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন অনিকেত। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। আত্মহত্যা, নাকি IIT পড়ুয়ার মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কী ঘটনা ?
হস্টেলে নিজের ঘরে ছিলেন ওই ছাত্র। সহপাঠীরা ডাকাডাকি করলেও সাড়া না মেলায় খবর যায় নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে। তাঁরা ছুটে এসে দেখেন, গলায় দড়ির ফাঁসে ঝুলছে অনিকেতের দেহ। খবর পেয়ে আসে খড়্গপুর টাউন থানার হিজলি ফাঁড়ির পুলিশ। উদ্ধার করা হয় অনিকেতের দেহ। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কীভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট হতে হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে মৃতদেহ।
আগেও মৃতদেহ উদ্ধার
গত জানুয়ারি মাসেই খড়গপুরে IIT-তে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। হস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয় কসবার বাসিন্দা শাওন মল্লিকের ঝুলন্ত দেহ। তার আগের রাতে মায়ের সঙ্গে শেষবার কথাও বলেন শাওন। সকাল থেকে ফোনে না পেয়ে খড়গপুরে IIT-তে পৌঁছন ছাত্রের মা-বাবা। হস্টেলের ঘরের দরজা ভেঙে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
ক্যাম্পাস থেকেই উদ্ধার হয় ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে মেধাবী পড়ুয়াদের পীঠস্থানে ফেরে ২ বছর আগে আরেক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর স্মৃতি। সপ্তাহান্তে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শেষ দেখা দেখতে হয় মা-বাবাকে। বছর ২১ এর পড়ুয়া শাওন মল্লিক। খড়গপুর আইআইটি-র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাড়ি কলকাতার কসবায়। সেখানে আজাদ হলে ২২৬ নম্বর রুমে থাকত শাওন।
আগের রাতে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও হয়। আর পাঁচটা রবিবারের মতো, ওইদিনও ছেলের সঙ্গে দেখা করতে খড়গপুর আইআইটি-র ক্যাম্পাসে যান শাওনের মা-বাবা। ক্যাম্পাস থেকেই ছেলেকে ফোন করেন। ফোন ধরেনি শাওন। সোজা হস্টেলে ছুটে যান তাঁর মা-বাবা। হস্টেল কর্মী ও অন্যান্য আবাসিকদের সহায়তায়, এরপর দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় শাওনের ঝুলন্ত দেহ। বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।






















