Paschim Medinipur: লিঙ্কে ১০ টাকা পাঠাতেই হাপিস ৬৯ হাজার! হেল্পলাইনে ফোন করে প্রতারিত
Online Fraud in Belda: বেলদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্য়বসায়ী। সেই লিখিত অভিযোগের কপি মেদিনীপুরে সাইবার ক্রাইম থানায় পাঠানো হবে বলে এমনটাই জানা গিয়েছে।
অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: এবার হেল্পলাইনে ফোন করে প্রতারণার শিকার। ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা। এবার কুরিয়ার সংস্থার হেল্পলাইনে ফোন করে প্রতারিত হলেন এক রুদ্রাক্ষ ব্যবসায়ী।
ঠিক কী হয়েছে?
পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur Online Fraud) বেলদা থানার বীরবরপুর গ্রামের উজ্জ্বল অধিকারী পেশায় রুদ্রাক্ষের ব্যবসায়ী। এই রুদ্রাক্ষের মূল্য বাবদ ২০ হাজার টাকা অনলাইনে দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তারপরে ৫-৬ দিন কেটে গিয়েছিল, কিন্তু হাতে রুদ্রাক্ষ পাননি ওই ব্যবসায়ী। তারপরে নেপালের ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন উজ্জ্বল। কিন্তু, যোগাযোগ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত গুগল থেকে ওই সংস্থার একটি হেল্পলাইন নম্বর জোগাড় করেন তিনি। সেই হেল্পলাইন (Calling নম্বরে ফোন করেন তিনি। কথা বলার পরে সেখান থেকে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। উজ্জ্বল অধিকারী জানাচ্ছেন, ওই হেল্পলাইনটি থেকে একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে বলা হয় সেইখানে ১০ টাকা অনলাইনে পাঠানোর জন্য। তারপরে হোয়াটসঅ্য়াপে ডেলিভারি বয়ের ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর দুপুরের মধ্যেই উজ্জ্বল অধিকারীর কানাড়া ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে দুই দফায় মোট ৬৯ হাজার ১৭৭ টাকা কেটে নেওয়া হয়। এরপরেই তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বেলদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সেই লিখিত অভিযোগের কপি মেদিনীপুরে সাইবার ক্রাইম থানায় পাঠানো হবে বলে এমনটাই জানা গিয়েছে।
উজ্জ্বল অধিকারী বলেন, 'কুরিয়ারে রুদ্রাক্ষ আসার কথা ছিল। কুরিয়ার সংস্থায় ফোন করেছিলাম। সেই কুরিয়ার কোম্পানি থেকে আমাকে একটি নম্বার পাঠিয়েছিল আর তারপর আমি প্রতারিত হই। কুরিয়ার কোম্পানি থেকে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয় আর সেখানে একটি দশ টাকা দিয়ে দিতে বলা হয় দিলে তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবে। তাড়াতাড়ি রুদ্রাক্ষ চলে আসবে বলে আমিও দশ টাকা দিয়ে দিই। তারপর আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৯ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়।'
কয়েকদিন আগেও এই বেলদা থানা এলাকাতেই অনলাইন প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় একটি টাকা পাঠানোর অনলাইন অ্যাপে একটি সমস্যার সমাধান চেয়ে একটি কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেছিলেন প্রতারিত ব্যক্তি। তখনই তাঁকে নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে ফোন ধরিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় তিনি কোনও ওটিপি দেননি বলেও দাবি ছিল। শেষ পর্যন্ত ওই ব্য়ক্তির নামে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ মঞ্জুর হয়। তারপরে সেই টাকা অন্য অ্যাকাউটে চলে গিয়েছিল। সেই ঘটনাতেও সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।